উচ্ছ্বাস মুখরতায় নতুন বছরকে বরণ
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
সংক্ষিপ্ত পরিসরে উচ্ছ্বাসমুখরতায় খ্রিষ্ট্রীয় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে রাজধানীবাসী। রাত ১২টা ১ মিনিটে খ্রিষ্টীয় ২০২২ সালের প্রথম প্রহরে ঢাকার আকাশ বর্ণিল হয়ে ওঠে ফানুস ও আতশবাজির বর্ণচ্ছ্টায়।
শুক্রবার (১জানুয়ারি) মধ্যরাতে নগরীর মানুষ যার যার বাড়ির ছাদে, মহল্লার খোলা জায়গা কিংবা রাস্তায় আতশবাজি ফুটাতে থাকে। উড়িয়ে দেয় আলোকজ্জ্বোল ফানুস। মূহুর্তেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে রাজধানীর আকাশ। বাসা-বাড়ির বারান্দা ও বাড়ির ছাদে দাড়িয়ে মানুষজন এই আনন্দ-উচ্ছ্বাস উপভোগ করে।
আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয়োজনের মধ্যেই ছিল বর্ষবরণের আয়োজন। রাতে প্রকাশ্যে জনসমাগম, অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পানশালাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্য দিয়ে করোনা মহামারির দুঃসময় কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার আশায় আনন্দ–উচ্ছ্বাসে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করল দেশের মানুষ। প্রায় ঘন্টাখানেক উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি এলাকায় জড়ো হয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে। প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে বাইরে থেকে কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। প্রবেশপথগুলোতে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট৷ ফলে সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের চলে যেতে হয়। ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ শিক্ষার্থীরা ফানুস ওড়ায়৷ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন ফটক থেকে ছোড়া হয় আতশবাজি।
বড় ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও রাজধানীর অন্তত সাতটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোর সময় শুক্রবার মধ্যরাতে এসব ঘটনা ঘটে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এপি/এএস
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)