বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘খুনিদের নির্বাচনে আনতে হবে এত আহ্লাদ কেন’

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতে অনুরোধ করার বিষয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষ খুন করেছে তাদের নির্বাচনে আনতে হবে- এত আহ্লাদ কেন আমি বুঝি না।’

তিনি বলেন, ‘অপারেশন ক্লিনহাটের নামে যারা আমাদের নেতাদের হত্যা করেছে, আগুন সন্ত্রাস করে যারা মানুষ খুন করেছে, হত্যা, খুন এটাই তো ওদের চরিত্র। তাদের সঙ্গে বসতে হবে? তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাদের খাতির করতে হবে? তাদের নির্বাচনে আনতে হবে? এত আহ্লাদ কেন আমি তো বুঝি না। বাংলাদেশে কী মানুষ নেই?’

রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পর তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করলেন। তার আগে সকালে একুশে আগস্ট শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধী দলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি। সেখানে গিয়ে তারা অনুরোধ করে কোনোরকম তাদের একটু জায়গা দেওয়া যায় কি-না! জায়গা দেবে কি দেবে না সেটা ভাববে জনগণ। সে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আবার কি সন্ত্রাসীর যুগে ফেরত যাবে? নাকি আজকে যে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে সেই উন্নয়নের যুগে থাকবে। এই সিদ্ধান্ত তো জনগণকে নিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর একটা কথা বলার মতো অধিকার তারা দেয়নি। মাত্র ১৫ দিন আগে রেহেনা আর আমি দেশ থেকে গেলাম। কিছুতেই যাব না, কারণ ১৫ তারিখে আব্বা ইউনিভার্সিটিতে আসবে। আমি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। এটা আমার জন্য কতটা গৌরবের ছিল কিন্তু চলে যাই।‌ ওয়াজেদ (শেখ হাসিনার স্বামী) সাহেবকে যখন ফোন করে বললাম তিনি ভীষণ রাগ করলেন। তখন আব্বা বললেন ঠিক আছে তুমি যাও। আমার মনটা পড়েছিল এখানেই। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ১৪ তারিখেও কথা হলো আব্বা আম্মার সঙ্গে। পরদিন শুনতে পেলাম আমাদের কেউ বেঁচে নেই।

সেই সময়ের বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জার্মানিতে ছিলাম। সেখানে সানাউল হক সাহেব আগের দিন রাতে আমাদের ডিনার করালেন। যখন খবর এল আমার আব্বাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি (সানাউল হক সাহেব) হুমায়ুন রশীদ সাহেবকে ফোন করে বললেন আমার কাছে যে আপদ রেখেছেন নিয়ে যান। আমরা তার কাছে আপদ ছিলাম। এই ব্যবহারটা তখন করেছেন। তিনি তো ডিপ্লোম্যাট ছিলেন না, তিনি একজন সুশীল মানুষ। তার কাছ থেকে পেলাম আমরা এই ব্যবহার। হুমায়ূন রশিদ সাহেবের ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক কোনো পরিচয় ছিল না। জার্মানিতে যেয়ে পরিচয় হয়, কিন্তু তিনি আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন। সব রকম সহযোগিতা করেছেন। ১৬ তারিখ সকালে কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি গিয়েছিলেন জার্মানির বন শহরে হুমায়ন রশীদ সাহেবের বাসায়। রেহেনা তার হাত চেপে ধরেছিল, বলছিল আপনি একটি প্রতিবাদ করেন।‌ আপনি তো ফরেন মিনিস্টার, তিনি কিন্তু তা করেননি। এমনকি আমরা পরবর্তীতে কোথায় কী অবস্থায় আছি সে খোঁজটাও কামাল হোসেন নেননি। এরপর ১৯৮০ সালের দিকে রেহেনা তাকে খুঁজে পায় একটা মিষ্টির দোকানে, তিনি (কামাল হোসেন) মিষ্টি কিনছিলেন তখন রেহেনা তাকে ধরে। তাকে বলে আপনারা থাকতেও একবারও প্রতিবাদ হয়নি কেন? এরকম চড়াই উৎতরাই পার হয়ে যখন বাংলাদেশে এসেছি। প্রতি পদে পদেই তো বাধা। তারপরেও ক্ষমতায় আসতে পেরেছি, দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম পাঁচ বছর কাজ করার পর পরবর্তী সাত বছর আসতে পারিনি। বিএনপির অপকর্মের কারণে জরুরি অবস্থা হলো। সবার আগে আমি গ্রেপ্তার হলাম। ক্ষমতায় ছিল খালেদা জিয়া কিন্তু আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো সর্বপ্রথম। মামলা দেওয়া হলো একটার পর একটা। আমাকে প্রথমে দেশে আসতে দেবে না আমি জোর করে এলাম। আমি তো জোর করে বার বার এসেছি। এসে তো আমি কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। জনগণ আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছে, আস্থা রেখেছে। ২০১৪ তে আমরা নির্বাচনে জিতেছি। ২০১৮ এর নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। সেই নির্বাচনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। যারা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের বেশিদূর যাওয়া লাগবে না, জিয়াউর রহমান, এরশাদ তারা কীভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে? আমি বেশিদূর যাব না ২০০১ সালের নির্বাচন খোঁজ করে দেখেন না, কেমন নির্বাচন হয়েছিল? কতজন মানুষ ভোট দিতে পেরেছিল। তারপরও তো আমরা ভোট বেশি পেয়েছিলাম আমাদের সিট পেতে দেওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে আসি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।

বিএনপিকে উদ্দেশে করে বলেন, তারা নির্বাচন করবে কীভাবে? যে দলের নেতাই নেই, সাজাপ্রাপ্ত অথবা ফিউজিটিভ বা পলাতক তারা নির্বাচন করবে কীভাবে? জনগণ ভোট দেবে কীভাবে? ভোট কাকে দেখে দেবে এটাই তো প্রশ্ন। তারপরও অনেক চক্রান্ত আছে। এখনো নানারকম চক্রান্ত। নির্বাচন এলেই চক্রান্ত শুরু হয়। কিন্তু আমার এদেশের মানুষের ওপর বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। উন্নয়নটা করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি। হয়তো এটাই বড় অপরাধ। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সফলভাবে দেশ চালিয়ে মানুষের হৃদয়ে আস্থা অর্জন করেছিলাম সেজন্যই তো একুশে আগস্টের ঘটনা আমাকে শেষ করার পরিকল্পনা। আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সেজন্য আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আজ ২০২২। ২০০৪ থেকে ২০২২ ১৮ বছর হয়ে গেল। যারা এখনো স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন প্রত্যেকে কিন্তু কষ্ট ভোগ করছেন। যত বয়স বাড়ছে ততই তাদের শরীরে যন্ত্রণাটা বাড়ছে। আমি সবার খোঁজ রাখি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে। ‌আমরা সরকারে এসে তো কাউকে নির্যাতন করতে যাইনি। আমরা তো ওদের ঘরবাড়িও দখল করিনি। হাতুড়ি দিয়ে পিটিও মারিনি। ‌ কারাগারেও রাখিনি, কিছুই করিনি। যে মামলাগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল সেই মামলাগুলি চলছে। অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। খুন খারাপি করে দেশ থেকে পালিয়েছে। একুশে আগস্ট যারা হত্যা করেছে তারা দেশ থেকে পালিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের যারা দেশে ছিলেন তাদের সাজা কার্যকর করছি; বাকিরা পালিয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় কর্নেল রশিদ ও ডালিম বাংলাদেশ ছিল। এই চক্রান্তের সঙ্গে খালেদা জিয়া ছিল। খালেদা জিয়া কর্নেল রশীদ ও মেজর ডালিমকে যেভাবেই হোক দেশ থেকে চলে যেতে সাহায্য করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঘাত আসবে আবার। আমি জানি আমার তো পথে পথে বাধা। খালেদা জিয়ার সেই সময়কার বক্তব্য স্মরণ করবেন। যখন কোটালীপাড়ায় বোমা পুতে রাখা হলো ঠিক তার আগে খালেদা জিয়া বক্তব্য দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামার আগে খালেদা জিয়ার বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও কোনোদিন হতে পারবে না। সেই বক্তব্য সে আগাম দিল কীভাবে? তার মানে আমাকে হত্যা করবে। ‌সেই পরিকল্পনা তারা নিয়ে ফেলেছে।

এসএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবিঃ সংগৃহীত

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন পণ্যে সরকারের বর্ধিত কর নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে তখন অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই।

বুধবার (২২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন হাসনাত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে সরকারকে তারা জনগণের কল্যাণে যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে চাপে রাখতে পেরেছে বলে দাবি তার। পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

এই দেশের অধিকাংশ মানুষ সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। দেশটা কেমন আছে সেটাও তারা বোঝার চেষ্টা করেন সহজ হিসাব-নিকেশের মধ্যেই। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে, বাবা-মা-সন্তানের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে ব্যর্থ হয় মানুষ, তখন তারা ধরে নেয় দেশটা ভালো নেই।

লুটপাটের অর্থনীতি জারি রেখে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিজমের দোসররা। রাষ্ট্রীয় প্রকল্পগুলো থেকে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আমাদের অর্থনীতিকে করেছে ভঙ্গুর। চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু বিগত স্বৈরাচার আমাদের বলতে দিত না।

জুলাইয়ের স্বাধীনতায় গণমানুষ আবার নিজেদের কথা বলার, হতাশা ব্যক্ত করার, প্রতিবাদ করার সক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। মজলুম মানুষের এই নানামুখী যন্ত্রণা দিনশেষে ফ্যাসিজমের কবর রচনা করেছে বাংলাদেশে। এ দেশের মানুষকে দমন করে, নিপীড়ন করে, অত্যাচার করে শাসন করা অসম্ভব। আজ হোক বা কাল- আমরা প্রতিবাদ করবই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা ও অদক্ষতার বিরুদ্ধেও মানুষ আজ প্রকাশ্যে অবস্থান নিচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। যদিও এটি একটি চমৎকার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ইঙ্গিত করে।

জনগণের কল্যাণে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে পারছি এবং সরকারের সাথে বিতর্ক করতে পারছি। এ দেশের জাগ্রত তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত না করে, তাদের নিয়ে দেশ গঠনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে পারলে আমরা সফল হবো। আর অপরপক্ষে গণমানুষ বিবর্জিত বিভাজনের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে, জুলাইয়ের সাথে বেইমানি করা হবে।

জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করে সরকারের এমন প্রতিটি পদক্ষেপের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা এ দেশের প্রতিটি মানুষ জানার অধিকার রাখে। যেমন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কেন ভ্যাট বৃদ্ধি করল, এর বিকল্প কী ছিল, কিভাবে জিনিসপত্রের দাম অতি দ্রুত মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে, কবের মধ্যে ভ্যাট কমানো হবে- এই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণগুলো অবশ্যই অবশ্যই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম একটি দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। এটি নিয়ে ন্যূনতম গড়িমসি করার অর্থ হলো, আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে গণমানুষের স্বপ্ন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অস্তিত্বকে বিপন্ন করা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।

তবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে-তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি জয়শঙ্কর।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন জয়শঙ্কর। তিনি শপথ অনুষ্ঠানের পর ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে গঠিত চার দেশীয় জোট কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর।

সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এর জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি না যে, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা সমীচীন হবে।’

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সুস্পষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এটা খুবই স্পষ্ট যে, নতুন প্রশাসন ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ভারতের উপস্থিতি চেয়েছিল। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  

ছবিঃ সংগৃহীত

এবার মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দর এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে হুমকির বার্তা দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া এই হুমকি বার্তার আদৌ কোনো সত্যতা আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টায় এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দরে হুমকির বার্তা পাঠানো হয়।

এরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হয়।
হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমরা আবারও আরেকটি সম্ভাব্য হুমকির বার্তা পেয়েছি। বার্তা পেয়েই নির্ধারিত প্রোটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সব বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
এর আগে ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির বার্তাটি একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে দেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ওই বার্তা দেওয়া হয়।

সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এএসপি আব্দুল হান্নান।
ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর