বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরে টিকটক করতেন রাজ: র্যাব
বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরে ভিডিও বানিয়ে টিকটকে আপ্লোড করতেন টিকটক রাজ ওরফে আব্দুর রাকিব (২৭)। পরবর্তীতে নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে অর্থ আত্মসাৎ করতেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের গণমাধ্যম শাখায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন বয়াটালিয়ন (র্যাব)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে টিকটক রাজকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল, সাতটি সিমকার্ড, মেমোরি কার্ড, র্যাবের ইউনিফর্ম ও স্কার্ফ, ভূয়া আইডি কার্ড, চেইন সহ বাঁশি, বুট ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, টিকটক রাজ দীর্ঘদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূয়া পরিচয় দিয়ে আসছিল। তিনি বিগত দুই বছর যাবৎ অনলাইন প্লাটফর্মে এহেন অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, আব্দুর রাকিবের টিকটকে দুই মিলিয়নের অধিক ফলোয়ার রয়েছে। তিনি অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীদের প্রলুব্ধ ও প্রতারিত করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে বিজিবির একজন ল্যান্স নায়েক বলে পরিচয় দিতেন আব্দুর রাকিব। পরবর্তীতে বিজিবি থেকে র্যাবে পদায়ন হয়ে তিনি ঢাকায় র্যাবে কর্মরত আছেন বলে তার অনুসারীদের জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, মূলত আব্দুর রাকিবের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। তিনি আগে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন এবং বর্তমানে বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেলের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত আছেন। টিকটকের মাধ্যমে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি চারটি বিয়ে করেছেন।
এছাড়াও টিকটক রাজের বিরুদ্ধে শতাধিক নারীকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করার অভিযোগ আছে বলেও জানায় র্যাব।
এনএইচ/এএস