'তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণ এখন সময়ের দাবি'
অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, 'ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন শক্তিশালীকরণের খসড়া প্রস্তাব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে। তাতে তামাকবিরোধী অংশীজনদের দাবি ও পরামর্শগুলো যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ খসড়া সংশোধনীটি চূড়ান্ত করা দরকার।'
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে একটি জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার। প্যানেল আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএফইউজে-এর সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএনপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস এম জুলফিকার আলী এবং সিটিএফকে বাংলাদেশ-এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধে ড. আতিউর বলেন, 'তামাকবিরোধী সংগঠন ও গবেষকরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো সামনে এনেছিলেন তার সবগুলোই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত খসড়া সংশোধনীতে প্রতিফলিত হয়েছে। এ কারণেই জনসাধারণের মতামতের জন্য খসড়া সংশোধনীটি উন্মুক্ত করার পর এটি ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছে।'
তিনি জানান, ১৫৫ জন সংসদ সদস্য, বিএমএ ও সন্ধানীসহ ২০টির বেশি চিকিৎসক সংগঠন, শতাধিক স্বনামধন্য চিকিৎসক, শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ হাজারের বেশি সংগঠন ও ব্যক্তি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সংশোধনীটির প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের পক্ষে ব্যাপক জনমত থাকলেও স্বার্থান্বেষী মহল এটি চূড়ান্তকরণের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। তাই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সকল অংশীজনকে সর্বাত্মক সচেষ্ট হতে হবে।'
মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, 'তামাকমুক্ত দেশ গঠনের জন্য বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সংসদ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রস্তাবিত আইনটি চূড়ান্তকরণ এবং তার বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।'
জেডএ/এসজি/