রামপুরায় বাস চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ৯ বাসে আগুন
ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের চলমান নয় দফা দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই বাস চাপায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয় আরও এক শিক্ষার্থী। ২৯ নভেম্বর (সোমবার) রাত ১০টার দিকে রামপুরা ডিআইটি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গ্রিন অনাবিল পরিবহনের ঘাতক বাসটিসহ নয়টি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তার নাম মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। একরামুন্নেসা স্কুলের এই শিক্ষার্থী তার পরিবারের সঙ্গে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের বাসায় থাকতেন। সন্ধ্যায় তিন বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল মাইনুদ্দিন। রাতে ফেরার সময় ডিআইটি রোডে রাস্তা পার হচ্ছিল সে। এ সময় গ্রিন অনাবিল ও রাইদা পরিবহনের দুটি বাস পাল্লা দিয়ে চলছিল। একপর্যায়ে অনাবিল পরিবহনের বাসটি মাইনুদ্দিনকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রাত ১টার দিকে তার বাসা থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দুর্ঘটনার পরই লাঠি হাতে একদল যুবক ঘাতক বাসটি আটকে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় সেখানে থাকা আরও আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ আলী বলেন, রামপুরা ডিআইটি সড়কের সোনালী ব্যাংকের সামনে নয়টি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে খবর আসে। পরে ৭টি ইউনিট এক ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে, সড়ককে নিরাপদ করতে নয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেমের ছাত্র নাঈম হাসানের মৃত্যুর পর প্রথমে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে প্রতিবাদ করে। পরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দিলে প্রতিবাদ আন্দোলনে রূপ নেয়। অচল হয়ে পড়ে রাজধানী।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে যে নয় দফা দাবি ছিল, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এবার দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার তারা নতুন কর্মসূচি দেবেন।
/এনএইচ/টিটি