বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজট
ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে করে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। বিশেষ করে যানজটে আটকা পড়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারী ও শিশুদের। সড়কে আটকে রয়েছে কাঁচা পণ্য ও গরুবাহী অনেক ট্রাক।
আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) ভোর থেকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের কাছে দুর্ঘটনার কারণে যান চলাচল বন্ধ ও গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
এদিকে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সকল যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব- ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের লিংকরোড দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। আর ১৪ কিলোমিটার মহাসড়কের বিপরীতে প্রায় ২৬ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে এলেঙ্গা চারলেন সড়কে উঠতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন এলাকায় আটকে থাকা পাবনাগামী বাসচালক আব্দুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই সড়কে প্রচুর পরিমাণে গাড়ি চাপ বেড়েছে। ৫ কিলোমিটার আসতে ১ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
বগুড়াগামী রোজিনা বেগম নারী যাত্রী বলেন, সড়কে যানজট ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এদিকে তীব্র গরমে শিশু মেয়েটি কান্না করছে। কখন যে যানজট থেকে রেহাই পাব কে জানে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দুর্ঘটনা ও রাতে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় গাড়ির দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানবাহন যান চলাচল করছে। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের কাছে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এতে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।
এসআইএইচ