বিদায়ী জুনে ২৯৮ নারী-শিশু নির্যাতনের শিকার
চলতি বছরের জুন মাসে ২৯৮ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। এর মধ্যে ৯ জন কন্যা ও ১০ জন নারীসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইডের উপ-পরিষদ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের জুন মাসে মোট ২৯৮ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬ জন কন্যা এবং ১৭২ জন নারী। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। তার মধ্যে ৯ জন কন্যা ও ১০ জন নারীসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এক কন্যা ও এক নারী ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন।
৩৮ কন্যা ও ১৬ নারীসহ ৫৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং এক কন্যা ও এক নারী ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়াও ১৪ কন্যা শিশুসহ ২১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৮ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনই কন্যা-শিশু। ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৮ কন্যা। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৩ জন। ৩ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
ছয় কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ১৩টি। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৪ জন, এর মধ্যে ৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০ জন। এর মধ্যে দুই কন্যা। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার এক কন্যা-শিশু। ১২ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই কন্যা-শিশু। এ ছাড়াও এক কন্যা উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক কন্যা-শিশু। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে একজন। চার কন্যাসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে পাঁচজন। বাল্যবিবাহ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এক কন্যা শিশুর জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও ৯ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন কারণে সাত কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৭ জন নারীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পাঁচ কন্যাসহ ১৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিন কন্যাসহ ১৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুই নারী আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন।
কেএম/এএজেড