শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৬ মাসে দেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩৩৩ জন

গত ৬ মাসে দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩৩৩ জন শ্রমিক। ২০২১ সালে একই সময়ে সারাদেশে ২২০টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মারা যান ৩০৬ জন শ্রমিক।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের উপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা (এসআরএস)।

এসআরএস বলছে, গত ৬ মাসে (১ জানুয়ারী থেকে ৩০ জুন) সীতাকুণ্ড দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ জনসহ সারাদেশে ২৪১টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৩৩৩ জন শ্রমিক মারা যান।

মোট ২৬টি দৈনিক সংবাদপত্র (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যেসকল শ্রমিক কর্মক্ষেত্রের বাহিরে অথবা কর্মক্ষেত্র থেকে আসা-যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা অন্য কোন কারণে মারা গিয়েছেন তাদের এই জরিপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

জরিপে প্রাপ্ত কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছে পরিবহন খাতে যাদের সংখ্যা মোট ১৩৮ জন। এর পরেই রয়েছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন- ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ১০০ জন। নির্মাণ খাতে নিহত হয়েছে ৪৮ জন, কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা ২৬ জন এবং কৃষি খাতে ২১ জন।

মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে এসআরএস বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৩ জন, আগুনে পুড়ে ৫৭ জন; বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৫ জন; ছাদ, শক্ত বা ভারী কোন বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ২৩ জন; মাঁচা বা উপর থেকে পড়ে মারা গেছে ১৯ জন; বজ্রপাতে ১৫ জন; বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ জন; রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জন; পাহাড় বা মাটি, ব্রিজ, ভবন বা ছাদ, দেয়াল ধসে ৯ জন। এ ছাড়া পানিতে ডুবে ৮ জন শ্রমিক নিহত হয়।

জরিপ তথ্য প্রকাশ করে এসআরএস এর নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাম্য নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু চালক ও হেলপার মৃত্যুর ঘটনাগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। তিনি বলেন পরিবহন খাতকে নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

জরিপের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপোরোয়া যান চলাচল ও অদক্ষ চালক ইত্যাদি হল পরিবহন দুর্ঘটনার মূল কারণ। সাম্প্রতিকালে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহতের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এসআরএস জানিয়েছে, কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা, ক্যামিকেল সংরক্ষণে অদক্ষতা ও অবহেলা, কারখানায় ভবনে জরুরি বহির্গমন পথ না থাকা, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেওয়া, সেইফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া। কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেয়া এবং পাশাপাশি ভেজা হাতে মটর চালু করা, মাথার উপরে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, ভবনের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের পাশ দিয়ে লোহার রড উঠানোকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। তা ছাড়া ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার না করার কারণেও কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ওভাল ক্রিকেট টিমের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনল আম্বানি পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনের ক্রিকেট দল ওভাল ইনভিন্সিবলসের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে ভারতের প্রখ্যাত বিলিয়নিয়ার পরিবার, আম্বানি। এই শেয়ার কিনতে তারা প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম এবং সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

ওভাল ইনভিন্সিবলস এবং লন্ডন স্পিরিট, এই দুটি দল হান্ড্রেড নামে পরিচিত নতুন শর্ট-ফর্ম ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে, যা লন্ডনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হোম ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড গত বছর আটটি দলের অংশীদারিত্ব বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়, এবং প্রথম সফল চুক্তি হয় ওভাল ইনভিন্সিবলসের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে।

দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, সারে ভিত্তিক এই দলটির শেয়ার কিনতে সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারস এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইসহ সিলিকন ভ্যালির একাধিক শীর্ষ নির্বাহী এগিয়ে এসেছিলেন। তবে, শেষ পর্যন্ত সরাসরি নিলামের মাধ্যমে আম্বানি পরিবার এই শেয়ার কিনতে সফল হয়।

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড প্রতি দলের ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে হোস্ট ভেন্যুগুলি ৫১ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখতে পারবে বা তা বিক্রি করার সুযোগ থাকবে। নিলামটি পরিচালনা করেছে রেইন গ্রুপ, যারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং চেলসি ফুটবল ক্লাবের বিক্রির ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছিল।

হান্ড্রেড প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল ক্রিকেটের নিয়ম সহজ করা এবং হাফ-টাইম বিনোদন দিয়ে নতুন দর্শক আকর্ষণ করা।

Header Ad
Header Ad

সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যু নিশ্চিত করল হামাস

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গত বছর ইসরাইলি হামলায় নিহত হন মোহাম্মদ দেইফ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি। এতে বলা হয়, এক বিবৃতিতে, দেইফের পাশাপাশি হামাসের উপ-সামরিক কমান্ডার মারওয়ান ইসার মৃত্যুর কথাও ঘোষণা করেছে হামাস। যদিও গত বছরের মার্চ মাসে ইসার মৃত্যুর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া গত বছরের আগস্টে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা আগের মাসে দেইফকে হত্যা করেছে, কিন্তু তখন হামাস বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ইসরাইল দাবি করেছিল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে দেইফ অন্যতম ছিলেন। সেই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেইফকে গাজায় হামাসের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পরেই ছিল তার অবস্থান। ইয়াহিয়া সিনওয়ারও গত বছর ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা গত বছর দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন, পাশাপাশি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এদিকে, ইসা হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন এবং ইসরাইলের মোস্ট-ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের একজন হিসেবে বিবেচিত হতেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইসাকে তাদের সন্ত্রাসী কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। তারা মনে করে ৭ অক্টোবরের হামলার সাথে ইসা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওভাল ক্রিকেট টিমের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনল আম্বানি পরিবার
সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যু নিশ্চিত করল হামাস
প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা