মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রকৃতিভিত্তিক নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান

পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নীতি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (৫ জুন) গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ মেলা ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পরিবেশ মেলা ও ৫ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২-এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অনলি ওয়ান আর্থ: লিভিং সাস্টেইনেবিলি ইন হারমনি উইথ নেচার’ অর্থাৎ ‘একটাই পৃথিবী: প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন।’

আর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বৃক্ষ-প্রাণে প্রকৃতি প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ।

পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি তার সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। যার ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে ২২ দশমিক ৫০ ভাগ বনায়ন বেড়েছে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেই। প্রত্যেকটা উন্নয়ন প্রকল্পে কিন্তু একটা শর্ত থাকে যে কোথাও যদি বৃক্ষ নিধন হয়, তার থেকে ৫ গুণ বেশি বৃক্ষ পরে লাগাতে হবে। সেটা কিন্তু মানা হয় না। আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের মানুষ যাতে উন্নত জীবনযাপন করতে পারে, তারা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে, তাদের জীবনমান যাতে উন্নত হয় সেটাও আমাদের করতে হবে।

আসলে বাংলাদেশ ভৌগোলিক সীমারেখায় অত্যন্ত ছোট, জনসংখ্যার দিক থেকে বিশেষ বড়। সেখানে মানুষের আবাসনের ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নের ব্যবস্থা, এগুলো তো আমাদের করতেই হবে। কিন্তু প্রত্যেকটা প্রকল্পের সঙ্গে এটা নিশ্চিত থাকে যদি গাছ কাটতে হয় তাহলে সমপরিমাণ বা তার অধিক গাছ লাগাতে হবে বা সেই জায়গার পরিবেশ যাতে রক্ষা হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেইভাবেই আমরা পরিকল্পনা করি।

পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন করা না হলে সেটি কখনও টেকসই হয় না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ইতোমধ্যে ন্যাচার বেজড সলূশনের দিকে ধাবিত হতে হবে। প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নীতি মেনে চলা একান্ত দরকার।

পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবল ২৬৫ থেকে ১ হাজার ১৩৩ উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০টি জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস স্থাপন করা হয়েছে এবং বাকি জেলাগুলোতে অফিস স্থাপন কর্মকাণ্ড চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কথা আসছে। সেখানে বাংলাদেশ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখে না বা আমরা কোনো ক্ষতি সাধন করি না।কিন্তু বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো নিজেদের উন্নয়ন তারা করে ফেলেছে। তারাই বিশ্বে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে। আমরা বাংলাদেশ সব সময় এব্যাপারে সচেতন এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সবথেকে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। কাজেই এখানে বনায়ন সংরক্ষণ একটা কঠিন কাজ। আপনারা জানেন যে আমাদের দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি উখিয়ায়। আমার ছোট বেলায় দেখা এ উখিয়া ছিল যেখানে বাঘের ডাকও শোনা যেত। হাতির পায়ের ছাপ দেখা যেত। কিন্তু এখন আর সেই বনের কোনো অস্তিত্ব নেই। আর যেটুকু ছিল রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে পরিবেশটা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এটা বাস্তব।

বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নদীগুলো বাঁচিয়ে রাখতে পারলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও কিন্তু মুক্তি পাবে, লবণাক্ততা থেকেও মুক্তি পাবে এবং আমাদের মৎস্য সম্পদ বা জলজ সম্পদ সেটাও বাড়বে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক।

করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। এরপর এসেছে আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্যগুলো কেনা কষ্টকর হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জমি উর্বর, আমাদের জমি আছে। আমাদের নিজের ফসল ফলাতে হবে। আমাদের নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে হবে। এতে আমাদের প্রকৃতি পরিবেশও রক্ষা পাবে। পাশাপাশি আমরা পরনির্ভরশীলতাও কাটিয়ে উঠতে পারব। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন করে আসন সংরক্ষিত থাকবে।

সোমবার (৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগের নিয়ম বাতিল করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে পূর্বের ৫ শতাংশ কোটার আদেশ পরিবর্তন করে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন আসন সংরক্ষিত থাকবে। ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা সরকারি গেজেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত গেজেট যাচাই করেই ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী উপযুক্ত আবেদনকারী পাওয়া না যায়, তাহলে ওই আসন মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করিয়ে পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বাতিল করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, কোনটি আগে অনুষ্ঠিত হবে? এমন প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গন থেমে শুরু করে চায়ের আড্ডা সব জায়গায়। তবে, শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা এবং সংসদ নির্বাচনের দ্রুততার প্রেক্ষাপটে সরকার এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য এখন সংসদ নির্বাচন। কমিশন স্পষ্টভাবে বলেছে, তারা বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেবে না।

গত কয়েক মাসে সরকার স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বললেও পরে তিনি জানিয়ে দেন, সংসদ নির্বাচনই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য।

এদিকে, দেশে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভাব, জনগণের সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ার কারণে সরকারের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের চিন্তা তৈরি হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন অংশীজনের পরামর্শে সরকার এখন তা থেকে সরে এসেছে।

এর আগে, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৬৫ শতাংশ নাগরিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে।

বিএনপি, জামায়াত এবং বাম গণতান্ত্রিক জোট স্থানীয় নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এবং এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ গুরুত্বপূর্ণ সেবা পেতে পারে, যা জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনেও সহায়ক হবে।

তবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পরামর্শে, স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের চিন্তা থেকে সরে এসেছে সরকার। এ পরিবর্তিত অবস্থায়, সরকার এখন প্রশাসক নিয়োগের চিন্তা করছে। ইতিমধ্যে, সিটি করপোরেশনগুলোর নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেও প্রশাসক নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, "এখন পর্যন্ত স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগের কাজ করছি।"

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সরকার এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং সরকারের মনোযোগ এখন সংসদ নির্বাচনে।

Header Ad
Header Ad

নামাজে ছিলেন, এক ফোন কলে কোটিপতি হলেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর  

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক জাহাঙ্গীর। ছবিঃ সংগৃহীত

এক ফোন কল, একটিমাত্র সংখ্যা আর তাতেই বদলে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী এক বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য।

দেশটির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালিত শুল্কমুক্ত ‘বিগ টিকেট’ লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৭ কোটি) জিতেছেন জাহাঙ্গীর আলম (৪৪), পেশায় একজন জাহাজ নির্মাণ শ্রমিক।

কঠোর পরিশ্রমে কাটছিল প্রবাসজীবন, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাও কম ছিল না। তবে সোমবারের সেই ক্ষণে তার জীবনে এল এক অলৌকিক মোড়। নামাজের মাঝেই এল ভাগ্য বদলের ডাক।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি, আশা নিয়ে ‘বিগ টিকেট’ লটারির কুপন ১৩৪৪৬৯ কিনেছিলেন তিনি। তিন বছর ধরে টিকিট কিনছিলেন, কিন্তু একবারও জেতেননি। তবুও আশা ছাড়েননি।

সোমবার আবুধাবিতে বিগ টিকেটের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। জাহাঙ্গীরের নম্বরটি বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, কিন্তু তখন তিনি ছিলেন নামাজে। বারবার ফোন বেজে উঠছিল, কিন্তু তিনি কিছুই জানতেন না।

নামাজ শেষে ফোন হাতে নিতেই চমকে যান এক বন্ধু উচ্ছ্বাস নিয়ে জানালেন, “তুমি ২০ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছ!”

প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে বিগ টিকেট কর্তৃপক্ষের কল পেয়ে নিশ্চিত হলেন এ স্বপ্ন নয়, সত্যি!

জাহাঙ্গীর একা এই টিকেট কেনেননি, তার সঙ্গে ছিলেন আরও ১৪ বন্ধু। সবাই মিলে ভাগ করে কিনেছিলেন টিকেটটি।

তিনি বলেন, “নামাজের সময় সুসংবাদ এল। আমি বিশ্বাস করি, এটা শুধু আমার জন্য নয়, আমাদের ১৪ জনের জন্য এক বিশেষ রহমত।”

জাহাঙ্গীর জানান, এ অর্থ দিয়ে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে দুবাইতে ব্যবসা শুরু করতে চান। দীর্ঘদিন শ্রমিকের জীবন কাটানো এই মানুষগুলো এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

এদিকে, বাংলাদেশে থাকা তার পরিবারও যেন অবিশ্বাসের ঘোরে! প্রবাসজীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্ত পেছনে ফেলে জাহাঙ্গীর ও তার বন্ধুরা এখন নতুন ভবিষ্যতের অপেক্ষায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
নামাজে ছিলেন, এক ফোন কলে কোটিপতি হলেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর  
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন
জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য: আমিনুল হক
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ও শেখ হাসিনার বৈঠক, যা জানা গেল
৯১ দিনে কোরআনের হাফেজ ৬ বছরের আব্দুর রহমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত