মজুতদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নে জোর দিতে হবে। কেউ যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করতে পারে, অবৈধ মজুত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২জুন) ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘একটি মহল খাদ্য ঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির আশংকা নেই। মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এ অভিযান আরও জোরালো হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দুই কারনে সরকার ধান চাল সংগ্রহ করে। প্রথমত সরকার ধান কিনলে কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়। দ্বিতীয়ত জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল করতে চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের তিনি সতর্ক করে দেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বড় বড় কর্পোরেট হাউস ধান চাল সংগ্রহ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মিল না থাকলে তারা যেন এ ব্যবসায় যুক্ত না হতে পারে সেটা নিশ্চিতে ধান চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চালের দাম ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে। এসব দেশ থেকে চাল ও গম রপ্তানি করবে মর্মে পত্রও দিচ্ছে।
বাজার অস্থির করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলা প্রশাসকরা, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মিলমালিকরা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এনএইচবি/এমএমএ/