মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতু একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সততা ছিল বলেই সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নিজের অর্থে সেই সেতু করেছি’।

বুধবার (১ জুন) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিকাল ৪টার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সভা শুরু হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত আছেন। শুরুতে জাতির পিতা জাতীয় চারনেতা ১৫ আগস্টের শহীদ প্রয়াত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আমরা সেটা ভুলে যাই না। প্রতিবার বাজেট ঘোষণার সময় সেই ইশতেহার হাতে নিয়ে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, কতটুকু আমাদের সামনে করতে হবে সেগুলো বিবেচনা করে সেভাবেই বাজেট করি।

শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আমরা সেটা ভুলে যাই না। প্রতিবার বাজেট ঘোষণার সময় সেই ইশতেহার হাতে নিয়ে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, কতটুকু আমাদের সামনে করতে হবে সেগুলো বিবেচনা করে সেভাবেই বাজেট করি।

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সম্মেলন করা হবে বলেও দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক খ্যাত উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের সামনে অবহিত করেন শেখ হাসিনা।

তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন করছি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এরা ১৫ আগস্টের পর বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থা দুঃখজনক ছিল। কারণ ক্ষমতা তো জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতা চলে গিয়েছিল সেই মিলিটারি ডিকটেটরদের হাতে। তারা উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করত। যার ফলে দেশের উন্নয়ন না হয়ে তারা তাদের উন্নয়ন করেছে। ১৯/২০টা ক্যু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশনজট ছিল বলেও অবহিত করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতু চলতি মাসে উদ্বোধন করার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি। নিজের অর্থে পদ্মা বহুমুখী সেতু করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করেছি। আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। পদ্মাসেতু একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি। নিজের অর্থে সেই সেতু করেছি।

আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করব ইনশাল্লাহ। কানাডা কোর্ট রায়ে বলেছে সব অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা। ড. ইউনুস এটা করেছে শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদের জন্য। ৭১ বছর বয়স পর্যন্ত ড. ইউনূস বেআইনিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থেকেছে।

এ নিয়ে মামলা করে সে হেরে যায়। বিশ্বব্যাংক তার কথায় ফান্ড বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করি।

দেশের ৯০ ভাগ উন্নয়ন নিজস্ব অর্থায়নে করছি। বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

আগামীকাল (৫ মার্চ) সকালে শপথ গ্রহণ করে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া, তিনি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে টিএমএসএসের অ্যাডভাইজার এবং ২০২১ সাল থেকে টিএমএসএস ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার বাস্তবায়নের স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ প্রার্থী জামানত হারাবেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ। তার মতে, স্থানীয় পর্যায়ে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা না থাকায় এসব প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবেন না।

এম এ আজিজ বলেন, "নতুন দলগুলো তরুণদের নিয়ে রাজনীতি করছে, এলাকায় অর্থ ব্যয় করছে, মসজিদকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে স্থানীয় গণভিত্তি দরকার, যা তাদের নেই।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনে শুধু জনপ্রিয়তা থাকলেই হবে না, সংগঠনের শক্তি ও অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন। কিছু এলাকায় দু-একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সামগ্রিকভাবে দলের অবস্থা ভালো নয়। ফলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।"

তার মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তরুণদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এছাড়া, শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে, কিছু বিশ্লেষকের মতে, নতুন দলগুলোর প্রার্থী সংখ্যা বাড়লেও নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনও বড় দলগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad
Header Ad

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহভীতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তীদের জন্য। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।" (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

রোজার অন্যতম ফজিলত হলো- এটি মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি পার্থিব ও পরকালীন জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।

হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঈমান ও প্রতিদানের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, "মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই— রোজা ছাড়া। এটি আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেবো। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের ঘ্রাণের চেয়ে সুগন্ধযুক্ত।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭)

এমন মর্যাদার কারণে রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রোজাদারকে ইফতার করায়, তার প্রতি রাতে রহমতের ফেরেশতা দোয়া করেন। এমনকি কদরের রাতে জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে মুসাফা করেন।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রোজাদারের মর্যাদা কত উচ্চ। অথচ অনেক সময় আমরা রোজাদারদের কষ্ট দিই, গিবত করি, তাদের অধিকার হরণ করি, যা রমজানের শিক্ষা পরিপন্থী।

রমজানের উদ্দেশ্য হলো— তাকওয়া অর্জন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে হবে। শুধু অনাহারে থাকলেই রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না, বরং আমাদের উচিত- হারাম থেকে বেঁচে থাকা, ন্যায়ের পথে চলা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের অধিকার রক্ষা করা।

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) বলেছেন, "রমজানের রোজা ছোট রোজা, যা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বড় রোজা হলো— সারাজীবন আল্লাহভীতি নিয়ে চলা। ছোট রোজা ফরজ করা হয়েছে, বড় রোজার যোগ্যতা অর্জনের জন্য।"

তাই আমাদের উচিত, রমজানের শিক্ষা পুরো জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের রোজাসহ সব ইবাদত কবুল করেন। আমিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত
পদত্যাগ করেছেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ
পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম
খালেদা জিয়ার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তিশীল: ডা. জা‌হিদ  
রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়