আজ আসছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী, কাল বৈঠক
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান আজ বুধবার (১ জুন) ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তার সফরের মাধ্যমে দেশটিতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে যে জট সৃষ্টি হয়েছে তা খুলতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসছেন এম সারাভানান।
২ জুন দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারকরা বৈঠকে বসবেন। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আশা, ২ জুনের বৈঠকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করার সব প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মাধ্যমে নতুন করে দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু মালয়েশিয়ার একটি শর্তের কারণে আবার জটিলতা দেখা দেয়। মালয়েশিয়া শর্ত দিয়েছে তাদের নির্বাচিত ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেবে তারা। এ শর্তের কথা জানিয়ে এম সারাভানান চিঠিও দেন ইমরান আহমদকে।
বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রা এতে রাজি নয়। সংগঠনটির দাবি যোগ্য সব এজেন্টই লোক পাঠাতে পারবে। সিন্ডিকেট চলবে না। এ সিন্ডিকেটের কারণেই ৩ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ ছিল। তা ছাড়া এ শর্ত অন্য ১২টি দেশকে দেয়নি মালয়েশিয়া।
এ অবস্থায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানের চিঠির জবাবে বলেন, ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির শর্তে বাংলাদেশ রাজি নয়। এ অবস্থায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জনশক্তি রপ্তানি।
খুলতে পারে জট
সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে চাই না। এটা মালয়েশিয়াকে বলেছি চিঠি দিয়ে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, মানবসম্পদমন্ত্রী হয়তো কিছুটা ছাড় দেবেন। এজন্যই তিনি আসছেন। দেখা যাক কতটুকু ছাড় দেন।
শুধু ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি চূড়ান্ত করা অনিরাপদ উল্লেখ করে রিক্রুটিং এজেন্সির সংগঠন বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, দেশটিতে ১৪টি উৎস, ১৩টি দেশ যেভাবে শ্রমিক পাঠায় সেখানে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন নিয়ম হওয়ার অর্থ হলো, এটা তাদের মানি মেকিং মেশিন বানানোর পায়তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কর্মীরা, আর দেশ তো বটেই।
আলী হায়দার বলেন, হাইকোটের সুনিদিষ্ট নির্দেশনা আছে, শ্রমিক পাঠানোয় কোনো মনোপলি না থাকার। তাও উপেক্ষিত হচ্ছে। অনিয়ম, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে। এটা স্বাধীন দেশের জন্যে অমর্যাদাকর।
সেক্ষেত্রে মনোপলি করার যে শর্ত দিয়েছে মালয়েশিয়া, সেই শর্ত না থাকলে আপাতত কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন বায়রার সাবেক এ মহাসচিব।
আরইউ/এসএন