মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘৭ বছরের ছোট মেয়েটি কোথায় আছে, কেমন আছে-জানি না’

‘দুই মেয়ে ঢাকাতে মায়ের কাছে। ৭ বছরের ছোট মেয়েটি কোথায় আছে, কেমন আছে? বেঁচে আছে কি না তাও জানি না। এখন আমি কী করব?’-কথাগুলো বলছিলেন জাপান থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরা বাবা ইমরান শরিফ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন ৩ মেয়ের বাবা ইমরান শরিফ।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ নাগরিক ইমরান শরিফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঢাকায় আমার দুই মেয়ের সঙ্গে আমি দেখা করতে পারছি না। আর আমার ৭ বছরের ছোট মেয়ে সোনিয়া শরিফের বিষয়ে কিছু জানতে চাইলেও তার মা আমাকে কিছু বলছে না। আসলে সে আমাকে কিছু বলছে না, নাকি সে নিজেও কিছু জানে না তার ছোট মেয়েকে নিয়ে, তাও বুঝতে পারছি না।’

ইমরান শরিফ আরও বলেন, ‘আমি শুধু আমার ছোট মেয়েটিকে একবার দেখতে চাই। তার কথা শুনতে চাই। সে কেমন আছে জানতে চাই। একজন বাবা হিসেবে আমার চাওয়াটা নিশ্চয়ই বেশি কিছু নয়। আমার ছোট মেয়েটি নিরাপদে আছে, ভালো আছে, সুস্থ আছে-এই কথাটুকু আমি জানতে চাই। কিন্তু আমাকে কিছুই বলা হচ্ছে না, জানানো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা চাইছেন আমি জাপানে যাই। কিন্তু জাপানের পারিবারিক আইনের ৮৬১ ধারা এবং জিম্মি বিচার ব্যবস্থার কারণে সেটিও সম্ভব নয়।’

এ সময় জাপানের পারিবারিক আইনের ৮৬১ ধারা এবং জিম্মি বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রয়টার্স ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে ইমরান শরিফ বলেন, আমার ছোট মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আমি জাপানে গেলে দেশটির পারিবারিক আইন অনুসারে সেটি সম্ভব নয়। তার থেকে বড় সম্ভাবনা রয়েছে আমাকে জিম্মি বিচার ব্যবস্থার আওতায় সাব জেলে আটকে রেখে জবানবন্দি আদায় করার চেষ্টা হবে। যেখানে এই সাব জেলে আমি তাদের চাওয়া মত জবানবন্দি না দেওয়া পর্যন্ত প্রায় চার বছর বা তার বেশি সময় আমাকে সাব জেলে আটকে রাখার অধিকার রাখে দেশটির পুলিশ।

নিজের ৭ বছরের শিশুর সঙ্গে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা নেই জানিয়ে ইমরান শরিফ বলেন, তাদের মা ঢাকায় রয়েছে বিগত ৪ মাসের বেশি সময় ধরে। মা-বাবা, বড় দুই বোনকে ছাড়া আমার সন্তানটি কীভাবে আছে? তার কতটা কষ্ট হচ্ছে এটা বাবা হিসেবে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

জাপানে বিদেশিদের সন্তানকে ‘হাফু’ বলে সম্বোধন করা হয়। ‘হাফু’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘অর্ধেক’। সেখানে বিদেশি বাবা অথবা মা হলে তাদের সন্তানদের সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হতে হয় বলে জানান ইমরান শরিফ। আর এ কারণেই বাবা-মা ও বোনদের ছাড়া তার ছোট সন্তানটিকে নিয়ে শঙ্কিত তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হন বিট্রিশ আইনজীবী অ্যাডাম পেরি। তিনি জাপানে তার সন্তানকে হারিয়ে ফেলার বিষয়টি তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে। অ্যাডাম পেরি বলেন, আমার স্ত্রী জাপানের নাগরিক ছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর আমাদের পাঁচ বছরের মেয়েকে আমি হারিয়েছি। আমার সন্তানের বয়স যখন এগারো বছর, ঠিক তখন স্কাইপে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেই মেয়ে ‘ভাই’ হিসেবে সম্বোধন করে। একজন বাবা হয়ে সন্তানের মুখে এমন কথা শোনা খুবই কষ্টকর।

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী বিদেশি নাগরিক হওয়ায়, সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তার দেশে চলে যাওয়ার কারণেই এমমনটি ঘটেছে। ইমরান শরিফের স্ত্রীও যদি তার সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে নিজের দেশে চলে যায়, তার জীবনেও আমার মতই ঘটনা ঘটতে পারে।

ইমরান শরিফ বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই আমার সকল সন্তানদের হারাতে চাই না। একজন বাবা হিসেবে কোনোভাবেই সন্তানদের ছাড়া আমি থাকতে পারব না।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারির খোলা আদালতের রায় ও ১২ এপ্রিলের লিখিত রায়ের পর থেকে পারিবারিক আদালতে করা মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপিল বিভাগ বড় দুই মেয়েকে মায়ের কাছে রাখার আদেশ দেন। এরপর থেকে এই দুই মেয়ের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন ইমরান শরিফ। বর্তমানে তার বড় দুই মেয়ে ঢাকায় মায়ের কাছে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে হাইকোর্ট তার দুই সন্তানকে ইমরান শরীফের কাছে রাখার আদেশ প্রদান করেন। তবে শর্তে বলা হয়, প্রতিবছর তিনবার এবং প্রতিবার দশদিন বাংলাদেশে এরিকোকে সন্তানদের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে দেওয়া হবে। সন্তানদের মায়ের বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া আসা ও দশদিন থাকার খরচ ইত্যাদি শরীফ ইমরানকে বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য খরচ জাপানি নারী নিজেই বহন করবেন মর্মে রায়ে বলা হয়। মাসে দুইবার সন্তানদের সঙ্গে ভিডিওকলে মাকে কথা বলিয়ে দিতে হবে মর্মেও রায়ে বলা হয়।

কেএম/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহভীতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তীদের জন্য। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।" (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

রোজার অন্যতম ফজিলত হলো- এটি মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি পার্থিব ও পরকালীন জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।

হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঈমান ও প্রতিদানের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, "মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই— রোজা ছাড়া। এটি আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেবো। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের ঘ্রাণের চেয়ে সুগন্ধযুক্ত।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭)

এমন মর্যাদার কারণে রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রোজাদারকে ইফতার করায়, তার প্রতি রাতে রহমতের ফেরেশতা দোয়া করেন। এমনকি কদরের রাতে জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে মুসাফা করেন।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রোজাদারের মর্যাদা কত উচ্চ। অথচ অনেক সময় আমরা রোজাদারদের কষ্ট দিই, গিবত করি, তাদের অধিকার হরণ করি, যা রমজানের শিক্ষা পরিপন্থী।

রমজানের উদ্দেশ্য হলো— তাকওয়া অর্জন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে হবে। শুধু অনাহারে থাকলেই রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না, বরং আমাদের উচিত- হারাম থেকে বেঁচে থাকা, ন্যায়ের পথে চলা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের অধিকার রক্ষা করা।

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) বলেছেন, "রমজানের রোজা ছোট রোজা, যা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বড় রোজা হলো— সারাজীবন আল্লাহভীতি নিয়ে চলা। ছোট রোজা ফরজ করা হয়েছে, বড় রোজার যোগ্যতা অর্জনের জন্য।"

তাই আমাদের উচিত, রমজানের শিক্ষা পুরো জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের রোজাসহ সব ইবাদত কবুল করেন। আমিন।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত

অপারেশন ডেভিল হান্ট। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে একযোগে পরিচালিত হওয়া অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামটি আর থাকছে না। তবে নাম পরিবর্তন হলেও এ অভিযান বন্ধ হবে না। বরং যে কোনো অপরাধ কার্যক্রম ঠেকাতে ও অপরাধীদের ধরতে এ অভিযান আরও জোরালো হবে বলে জানা গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে।

‘ডেভিল হান্ট’ নামটির বিষয়ে খোদ প্রধান উপদেষ্টা আপত্তি জানিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এ কারণে নাম বদলানোর বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, নাম পরিবর্তন করা হলেও চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বা অন্যান্য প্রয়োজনে আরও একাধিক অভিযান পরিচালনা করবে।

অপারেশন ডেভিল হান্টের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, কোর কমিটিতে আমরা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। নিয়মিত এ মিটিংটা হয় কাজকর্মের অগ্রগতি দেখার জন্য। কোথায় আমাদের ফোকাস বাড়ানো দরকার, কোথায় ফোকাস বাড়ানোর দরকার নাই, কোন কোন জায়গায় আমাদের যৌথ টহলের দরকার নেই- সেগুলো আলাপ-আলোচনা করেছি। আরও অধিক ফোকাসড ওয়েতে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করছিলাম। সেটা প্রতি মাসেই পরীক্ষা করা হয় যে, ফলাফল কী হচ্ছে! কোথাও নিষ্ফল প্যাট্রোলিং হচ্ছে কি না, দরকার আছে কি না এসব দেখা হয়। যখন দেখা যায় সমস্যা নেই, তখন আমরা সেখান থেকে সরে আসছি। অন্য যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে কাজ করছি। এখন ঢাকা শহরের দিকে নজর দিচ্ছি। ছোট ছোট যেগুলো ঘটছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে এই রমজানে অপরাধের প্রবণতা বাড়তে পারে বিধায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সূত্র জানায়, একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে রমজান মাসে অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা। এরপর থেকে মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তর আরও জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাপত্তা প্রস্তুতি জোরদার করতে উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান একাধিক কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমি ফাইনালেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সবশেষ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া-ভারত। চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায় বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এই মহারণে রোহিত শর্মার দল এগিয়ে।

ভারত দলের জন্য হাতের তালুর মতই মুখস্থ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। এবারের আসরে দলটি আইসিসির সুবিধা নিয়ে একই ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে প্রতিটি ম্যাচ। ফলে কোন ধরনের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না নীল শিবিরকে। তাছাড়া প্রতি ম্যাচ একই ধরনের উইকেটে খেলবে বলে স্কোয়াডে গড়ার সময় সেই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। দুবাইয়ের ‘ধীর এবং নিচু’ উইকেটের কথা মাথায় রেখে রোহিত শর্মারা দলে নিয়েছেন পাঁচজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার।

সবশেষ ম্যাচে ভারত আসরের সবচেয়ে ব্যালেন্সড দল নিউজিল্যান্ডকে রীতিমত খাবি খাইয়েছে। কার্যকরী স্পিনে পরিপূর্ণ কিউইদের সাহসীকতার সাথে সামলেছে টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডার। বল হাতেও কেন উইলিয়ামসন ও টম লাথামদেরও ঘূর্ণি বিষে কাবু করেছে নীল শিবির।

অন্যদিকে ঠিক এই জায়গাটাতে বেশ পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অজি দলের এক অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া নেই কোন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। বেটিং অলরাউন্ডার ম্যাথু শর্ট ছিটকে গিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোটে পড়ে। অন্যদিকে ট্রাভিস হেড এবারের আসরে হাত ঘুরাচ্ছেন না সেভাবে। এদিকে শর্টের পরিবর্তে স্কোয়াডে ঢুকেছেন কুপার কোনলি, যিনি নিজেও একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

অন্যদিকে ক্যাঙ্গারুরা চোট সমস্যায় আসর শুরু আগেই পড়েছে বিপাকে। স্কোয়াডে নেই দলের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং অন্য দুই মূল পেসার জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক। নেই পরীক্ষিত দুই অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিস। পরের জন অবশ্য অবসরে গিয়েছেন স্কোয়াড ঘোষণার পর। অনেকটা আনকোড়া দল নিয়েই বিরাট কোহলিদের সামনে পড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

অজিদের পক্ষে আছে কেবল সাম্প্রতিক কিছু সুখস্মৃতি। অস্ট্রেলিয়া ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এক লক্ষ তিরিশ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে শিরোপা জেতেছিল। তার আগে একই বছরে রোহিত-কোহলিদের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেছিল অজিরা। আর এই বছরই (২০২৫) বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। আইসিসি বৈশ্বিক আসরের নক আউটে ২০১১ বিশ্বাকপের পর আর ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে জিততে পারেনি রোহিতরা। সুতরাং এই ম্যাচ নীলদের জন্য প্রতিষোধের।

অস্ট্রেলিয়া দলের এই অবস্থায় যেখানে সবাই ভারতকে এগিয়ে রাখছেন সেখানে সেখানে শেবাগের ফেবারিট স্মিথের দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও তিনি বলেছিলেন শিরোপা জিতবে অস্ট্রেলিয়া। এবার সেমিফাইনালের আগে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের আলোচনায় একই সুরে কথা বললেন।ক্রিকবাজের উপস্থাপক শেবাগকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি তো টুর্নামেন্ট শুরুর আহে অস্ট্রেলিয়া প্রেডিক্ট করেছিলেন।

এবার ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল, এখনো কি সেটাই বলবেন? উত্তরে শেবাগ জানান, তিনি আগের অবস্থানিই আছেন, ‘হ্যাঁ নিশ্চয়ই। আমি এখনো বলছি (অস্ট্রেলিয়া জিতবে)। ওরা যদি আগে ব্যাট করে আড়াইশ থেকে তিনশো করে ফেলে তাহলে সুযোগ ওদেরই থাকবে। আবার যদি আড়াইশ তাড়া করতে যায় তাহলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মতন এরা আউট হবে না।’

এই দুদল একে অপরের বিপক্ষে ১৫১ ম্যাচ খেলেছে। যার মাঝে ৮৪টি জিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ভারতের জয় ৫৭ ম্যাচে। ফলাফল শূন্য ছিল ১০ ম্যাচ। চয়াম্পিয়নস ট্রফিতে আবার ৪ মোকাবেলার ২টি জিতে এগিয়ে ভারত। তবে অজিরা যে ১ ম্যাচ জিতেছে সেটা আবার ২০০৬ সালের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটা।

এদিকে দুইবায়ের কন্ডিশনে খুব একটা অনুশীলনের সুযোগ পাইনি অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া আসরে এটাই তাদের প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে মরুর বুকে। তাছাড়া দলগত শক্তিতেও বেশ পিছিয়ে তারা। তবে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে যে দলটা ভারতকে থামানোর সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখে সেটি অস্ট্রেলিয়া। সেটা পৃথিবীর যে কন্ডিশনেই হোক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত
পদত্যাগ করেছেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ
পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম
খালেদা জিয়ার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তিশীল: ডা. জা‌হিদ  
রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা