বিকালের মধ্যে অশনিতে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপটি
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে এটি বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ রবিবার (৮ মে) বিকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার (৮ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এখন পর্যন্ত এটির দিক উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আজ বিকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া দূরবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগসম্পন্ন একটি ঝোড়ো রয়েছে। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৬টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় (অক্ষাংশ: ১০.৫ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৯০.২ ডিগ্রি পূর্ব) গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এটি ৭ মে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম জানান, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ । যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এসএন