বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
সয়াবিন তেল তথা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এক সময় বাদামের তেল হতো। একেবারে ছোট ছোট আকারে এলাকা ভিত্তিক বাদাম দিয়ে তেল হতো। সেই তেল দিয়েই ভাঁজা পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে।’
শনিবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এরপর আওয়ামী লীগ লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংসদের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
তেল উৎপাদনের আরও কি পদ্ধতি আছে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তা ছাড়া আমাদের দেশে ভালো সরিষা হচ্ছে, তিল হচ্ছে অন্যান্য যেগুলো তেল হয়, যেমন ধানের কুড়া থেকে তুষ থেকে তেল হচ্ছে এভাবে তেল উৎপাদনে কোন কোন পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে আমাদেরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে বিশ্বব্যাপাী যে মন্দা দেখা দিচ্ছে এটা খুব ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে, তার প্রভাব আমাদের উপরও আসতে পারে।
আমরা যদি এখন থেকে সতর্ক হই। জাতির পিতা বলেছিলেন আমার মাটি আর মানুষ আছে, আমি তা দিয়েই তো দেশ গড়ব। আমাদের সেই মাটি আছে, মানুষও আছে। আমরা পারব না কেন? আমরা একটু উদ্যোগ নিলেই পারি। সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানির উপর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনৈতিক অবস্থা, আমেরিকাতেও প্রভাব পড়ছে, ইংল্যান্ডেও প্রভাব পড়ছে। সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ছে, আমরা এর থেকে বাইরে না। আমাদের কিছু জিনিস তো উৎপাদন হয় না, বাইরে থেকে আনতে হয়। পেঁয়াজের সমস্যা হল। পেঁয়াজ আমরা উৎপাদন করতে পারি..। সেটা নিয়ে যখন ব্যবস্থা নিলাম পেঁয়াজের কান্না আর কানতে হবে না।’
’এ রকম একটা অবস্থা আমরা আনতে পারছি। এখন আসছে ভোজ্য তেল, সেটাও আমি মনে করি আমরা যদি উদ্যোগ নিই আমি মনে করি সমাধান করতে পারব। আমাদের দেশে এক সময় বাদাম তেল হতো, ছোট ছোট আকারে এলাকা ভিত্তিক বাদাম তেল হতো, সেই তেল দিয়েই ভাঁজা পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের উদাহরণ টেনে বলেন, লন্ডনে রেশন করে তেল দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ১ লিটারের বেশি কেউ তেল কিনতে পারবে না। প্রত্যেকটা জিনিস সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছে। এরকম একটা অবস্থা সারা বিশ্বেই। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে শীপের ভাড়া এতো বেড়ে গেছে। যেগুলো আমদানি করি সেই আমদানির উপর যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। সারা বিশ্বে দাম বেড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসএম/এমএমএ/
এসএম/এমএমএ/