৭৪ বছর পালন করলো আইইবি
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রকৌশলী বা ইঞ্জিনিয়ারদের জাতীয় পেশাজীবি একমাত্র সংগঠন ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’ তাদের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী ও বাংলাদেশে ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ পালন করলো আজ।
এই উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
জাতীয় দৈনিকগুলোতে আইইবি’র বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে।
দিবসটিতে আইইবি কার্যালয় (ঢাকা কেন্দ্র) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দপ্তর শহীদ প্রকৌশলী ভবনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেকগুলো কমসূচি পালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইবির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রনি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচশর বেশি প্রকৌশলী ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’তে অংশ নিয়েছেন। আরো ছিলেন নির্বাহী কমিটির ১০ সদস্য। তারা বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্ষেত্রে প্রকৌশলী এবং প্রকৌশলী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
আইইবির নিবন্ধিত সদস্য এই বিপুল প্রকৌশলীদের নিয়ে আইইবির সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ও বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা সকাল ১০টায় বাংলাদেশের জাতীয় ও আইইবির পতাকা উত্তোলন করেছেন।
এরপর দপ্তর থেকে তাদের সবার ‘উন্নত জগৎ গঠন করুন’ এই শ্লোগানে ‘৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ৭ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’র র্যালি শুরু হয়েছে। শোভাযাত্রাটি আইইবি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে মাৎস্যভবন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে আবার আইইবিতে এসে শেষ হয়েছে।
৭৪তম প্রতিষ্ঠাবাষিকীর বিশেষ কেট কেটে সবাই ভাগ করে খেয়েছেন। বাংলাদেশের বরেণ্য প্রকৌশলী ও সদস্য এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এরপর মধ্যাহ্নভোজ হয়েছে।
বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা দিবসে বলেছেন, ‘শ্রদ্ধায় স্মরণ করি, মরহুম প্রকৌশলী এম.এ. জব্বারসহ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যারা এই প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান উন্নতির জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রকৌশলীদের সহায়তা করেছেন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করার পর থেকে আমাদের আইইবি বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের উন্নয়নের জন্য নানা ধরণের কাজ করে চলেছে। বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের মানোন্নয়নের জন্য আইইবি প্রতিনিয়তই আধুনিক এবং গতিময় কমকান্ডে নিয়োজিত। প্রকৌশলীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এর মধ্যেই অবিশ্বাস্য পরিবর্তন এসেছে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের মাতৃভূমিতে।’
ওএস।