রাজধানীসহ উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে আজও
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে রাজধানীসহ উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি আজ শনিবারও (৭ মে) হতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশে বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার (৬ মে) দুপুর পর্যন্ত তপ্ত রোদের পর বিকালের দিকে হালকা বৃষ্টি ঝরেছে। এ ছাড়াও দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ছিল।
বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ আন্দামানের কাছে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। সাগরের উত্তাপ বেড়ে যাওয়ায় লঘুচাপটি আজ রাতের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে তা শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত করেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সামগ্রিকভাবে সারাদেশে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হোক বা না হোক, আগামী এক সপ্তাহ দেশের আবহাওয়া অস্থির থাকতে পারে। সাগরে একদিকে নিম্নচাপের আশঙ্কা। আর দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দিনে আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা বা গরম আরও বাড়তে পারে। ফলে সাগর থেকে পাহাড়—সব স্থানেই খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লঘুচাপটি দ্রুত নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ফলে আগামী দু–তিন দিন আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে শেষ পর্যন্ত কেমন শক্তি নিয়ে কোথায় আঘাত করতে পারে। আন্দামান সাগরের যে এলাকায় লঘুচাপটি তৈরি হয়েছে, সেখানকার তাপমাত্রা গতকাল ছিল ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি রবিবার রাতের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সামগ্রিকভাবে সারাদেশে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি বাড়তে পারে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ স্থানের গড় তাপমাত্রা বাড়লেও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দমকা হাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিকর আবহাওয়া বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিও হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৮টি জেলায় দমকা হাওয়া ও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। রাজধানীতেও বিকালের দিকে দমকা হাওয়া বয়ে যায়। তবে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের চেয়ে কম।
গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সন্দ্বীপে—৯৪ মিলিমিটার। এ ছাড়া দিনাজপুরে ৩২, বগুড়ায় ২৪ ও নঁওগায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। আর রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে চার মিলিমিটার। দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে—৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টিটি/
