স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গভবনেই ঈদের নামাজ আদায় রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে তার পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন কর্মকর্তাসহ মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
রাষ্ট্র প্রধান পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে বঙ্গভবনের দরবার হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে ঈদের নামাজ আদায় করেন। রাষ্ট্রপতি সাধারণত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহ্যবাহী ঈদের নামাজে অংশ নেন কিন্তু গত দুই বছরের মতো কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবারও তিনি জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে যাননি।
সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা সাইফুল কবির ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও মো. আফজাল হোসেন, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, বঙ্গভবনের পদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঈদের নামাজে অংশ নেন।
বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রাণঘাতী কোভিড-১৯-এ যারা মারা গেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং সারাদেশের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে করোনা রোগীদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে একদল বিপদগামী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নৃশংসভাবে খুন হওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জনগনের স্বার্থে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে বঙ্গভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান রাষ্ট্রপতি হামিদ। তবে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশি কূটনীতিক বা অতিথিদের সম্মানে সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা বিনিময় হয়নি।
এপি/