মুহিতের শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো কিন্তু...
বড় ভাইকে হারিয়ে আবেগ আপ্লুত পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা আলোর দিশারি হিসেবে আমাদের গার্ডিয়ানকে হারালাম।
‘অনেক বিষয়ে তার সঙ্গে মতপার্থক্য হতো কিন্তু তিনি আমাকে কনভিন্স করতে পারতেন। তিনি (মুহিত) গত এক সপ্তাহ ধরে সিলেটে যাওয়ার জন্য ব্যকুল ছিলেন শুধু সিলেটে যেতে চাইতেন। আজ তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে সিলেটে যাচ্ছেন কিন্তু কফিনে মোড়ানো লাশ হয়ে,’ যোগ করেন তিনি।
বড় ভাইয়ের (মুহিত) জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।
পরে সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হয় সেখানে জানাজা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, এদেশের মানুষের মঙ্গল কীভাবে হবে এগুলো নিয়ে তিনি (মুহিত) খুব চিন্তিত থাকতেন। তিনি সত্যি একজন দিশারি। তিনি যা চিন্তা করতেন তার অনেক কিছু সার্থক হয়েছে। সে জন্য তিনি বলতেন আমার জীবনে আমার যথেষ্ট তৃপ্তি আছে।
তিনি বলেন, তার আশির দশক এবং ৯০ দশকে অতৃপ্তি ছিল, পরবর্তীতে তিনি দেশকে কিছু দিতে পেরেছেন বলে নিজে আনন্দিত থাকতেন, খুব হাশি খুশি থাকতেন। সারাজীবন সাদা মনের মানুষ। আমার সঙ্গে তার বিশেষ ঘণিষ্ঠতা ছিল।
আবদুল মোমেন আরও বলেন, তার যত ধরনের বই সেগুলো আমি দেখেছি। আমি তার বিষ্ময় জানি। আমাদের মধ্যে অনেক বিষয় মত পার্থক্য হয়েছে, কিন্তু সে খুব ভালো। তিনি আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে কনভিন্স করেছেন, যে এটা সঠিক নয়। আমরা ভাই বোনরা খুব সহজে, আন্তরিকতার সাথে কথা বলতাম। আমাদের গার্ডিয়ান হারালাম। আলোর দিশারি হিসেবে উনাকে মিস করব।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের দাফন
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দ্বিতীয় জানাজা শেষে সড়ক পথে পিতৃভূমি সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
মোমেন বলেন, আজ সিলেট নিয়ে যাচ্ছি। এখন বাড়িতে নিয়ে যাব। রবিবার (১ মে) স্থানীয় নেতারা ঠিক করেছেন বাদ যোহর সিলেটে জানাজা হবে। তার আগে সকালে বাড়িতে একটা জানাজা হবে। তারপর সিলেট স্মৃতি সৌধে রাখা হবে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেখান থেকে সিলেট মাদরাসা গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। সব শেষ সিলেটের রায়নগর সাহেব বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাবা-মা দাদার কবরের পাশেই দাফন করা হবে। তিনি মারা যাওয়ার আগে সব বলে গেছেন কোথায় কী করতে হবে।
এসএম/এমএমএ/