তিন বাংলাদেশি পাচ্ছেন জাপানের ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান’
তিনজন বাংলাদেশিকে অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান সম্মাননা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিন বাংলাদেশি হলেন- মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আবদুল হক ও মোহাম্মদ এখলাছুর রহমান।
১৮৭৫ সালে সম্রাট মেইজি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন,অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, জাপানিজ কিয়োকুজিৎসু-শো, জাপানিজ অর্ডার। ব্যতিক্রমী বেসামরিক বা সামরিক যোগ্যতার জন্য এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি, ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টারস’ পাবেন।
সম্মেলনে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়া ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি দ্য বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্টের (বিআইজি-বি) উদ্যোগের অধীনে একজন প্রবর্তক হিসেবে ধারণাগত পর্যায়ে থেকে বাংলাদেশে জাপানের উন্নয়ন প্রকল্পে অবদান রাখেন এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন।
জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি হকস বে অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হক ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড রেস উইথ রোসেট’ পুরস্কার পাবেন।
সম্মেলনে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার উন্নয়নে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন।
ইয়ামাগাটা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. এখলাছুর রহমান ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার রেস’ পাবেন। ওষুধের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে তার মহান অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মেলন জাপান ও বাংলাদেশের জন্য একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি ইয়ামাগাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
তিনি জাপানের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করেছেন, যা তাকে বাংলাদেশে জাপানের অনুকরণে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশে ফিরে তিনি তার নিজস্ব হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং অনেক তরুণ বাংলাদেশি ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি হাসপাতালে অনেক জাপানি রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্যও নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, যা কাউন্টির জাপানি সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
এসএন