বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মিশনে নতুন অস্ত্র প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব
শান্তিরক্ষী মিশনের বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ থেকে নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রতিস্থাপন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন প্রস্তাব দেন সেনাপ্রধান।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোম ও মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তর পরিদর্শনের সময় জাতিসংঘের সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল গিলেজ মিচাউদ, ভারপ্রাপ্ত মিলিটারি অ্যাডভাইজর মেজর জেনারেল মওরিন ও’ব্রায়ান, পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল (এএসজি) মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান স্যান্ডার্স ও পুলিশ অ্যাডভাইজর লুইস রিবেরিও ক্যারিলহোর সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধানের নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রতিস্থাপনের প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সম্মতি প্রকাশ করেন। স্থায়ী মিশন জানায়, অত্যন্ত ফলপ্রসূ এসব বৈঠকে উঠে আসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সুদীর্ঘ সময়ব্যাপী বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের বিভিন্ন দিক।
বৈঠকে সেনাপ্রধান বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন। শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে নারী শান্তিরক্ষীসহ আরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগ, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ, অন্যান্য শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশ থেকে আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ার মোতায়েন, গার্ড ইউনিটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিয়োগ, জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এবং অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বাংলাদেশ থেকে আরও অধিক সংখ্যক পুলিশ কন্টিনজেন্ট ও ইন্ডিভিজ্যুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) নিয়োগ।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অত্যন্ত কঠোর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মনোনীত করে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে মিশনে পাঠানো হয় মর্মে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
ভারপ্রাপ্ত মিলিটারি অ্যাডভাইজর বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, নৈতিকতা এবং নিয়মানুবর্তিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এসব কারণেই বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শান্তিরক্ষী নিয়োগের আগ্রহের কথা জানান তিনি।
কেএম/টিটি