সকল বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
'একটা গোষ্ঠী রয়েছে যারা স্বাধীনতকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক তারা চায় না। তাই নানা বাঁধা সৃষ্টি করবে তারা। সেসব বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা তা যাব এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব'- বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, বরগুনা জেলার বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর সেই আদর্শ থেকে পথ হারিয়ে যায়। একের পর এক তারা ক্ষমতায় এসেছে। তারা প্রত্যেকে জনগণকে শোষণ করেছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। জনগণকে অধিকার বঞ্চিত করেছে এবং নিজেদের ভাগ্যই তারা গড়েছে। যে কারণে দেশ আর সামনের দিকে এগোতে পারেনি।
২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ শুরু করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে এটাই ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়েই তিনি কাজ করেছেন। যারা পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসে তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়টাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, আদর্শটাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আবার যেন এই দেশ পাকিস্তানিদের পদলেহন করে, সেটাই বোধহয় তাদের লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবহেলিত মানুষগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের পুনর্বাসনের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। এটা আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীর দাঁয়িত্ব। আমরা সার্ভে করে দেখেছি প্রায় ৮ লাখের উপর মানুষ পেয়েছি যারা ছিন্নমূল। এই প্রতিটি মানুষকে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব। ৭৫ এর তাকে আঘাত করে তারা ভেবেছিল এই দেশটাকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে, এই দেশটাকে আবার ধ্বংস প্রণীত করবে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আজকে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটাতে পারছি।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলবেন, দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এটাই হচ্ছে জীবনের বড় পাওয়া। একটা মানুষকে একটু আশ্রয় দেওয়ার পরে তার মুখে হাসি দেখা, এর থেকে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কী হতে পারে? এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত। অনেক বাধা আসবে, কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক এটা যারা স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারা কখনও চাইবে না। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
এসএম/টিটি