বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাড়া-মহল্লায় শিশু-কিশোরদের খেলার সুযোগ দিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রয়োজন: আইপিডি

পাড়া-মহল্লায় শিশু-কিশোরদের খেলার সুযোগ দিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সোমবার (২৫ এপ্রিল) আইপিডি’র এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার কলাবাগানের উত্তর ধানমন্ডি এলাকার তেঁতুলতলা মাঠ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে আইপিডি। তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনকর্মী রত্না হোসেন ও তার ছেলেকে পুলিশের আটক ও পরবর্তীতে মুচলেকার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ার ঘটনাসমূহ অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়।

এই মাঠ রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনকে আন্তরিকভাবে আমলে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে সমাধানের আন্তরিক উদ্যোগ থাকলে এই অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো যেত বলে বিশ্বাস করে আইপিডি। পাশাপাশি তেঁতুলতলা মাঠে থানা না করে অন্য কোন বিকল্প জায়গা খূঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহবানকে স্বাগত জানাচ্ছে আইপিডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধূলার গুরুত্বের কথা আমরা সবসময়ই বলে থাকি। রাজধানী ঢাকা শহরে দিন দিন শিশু-কিশোরদের বিনোদন এবং খেলাধুলার স্থান সংকুচিত হয়ে আসছে। যে কয়েকটি হাতেগোনা খেলার মাঠ অবশিষ্ট আছে, সেগুলোর অধিকাংশই দখল কিংবা নানাবিধ কারণে খেলার মাঠ হিসেবে আর ব্যবহার করবার সুযোগ নেই। কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটি কলাবাগানের শিশু খেলাধূলা করার অন্যতম স্থান, অনেকের জন্যই একমাত্র স্থানও বটে।

আদর্শগতভাবে নগর পরিকল্পনায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের জন্য ন্যূনতম একটা খেলার মাঠ তৈরি করতে হয় যার আয়তন ন্যূনতম এক একর (তিন বিঘা) হওয়ার কথা এমনটা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ঢাকা শহরের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি পাড়া-মহল্লায় প্রতি সাড়ে ১২ হাজার মানুষের জন্য দুই থেকে তিনটি খেলার মাঠ থাকা উচিত যার মোট আয়তন হওয়ার কথা তিন একর।

অতি ঘন এলাকা কলাবাগানে আনুমানিক ৩০ হাজারের মত মানুষ বসবাস করেন। প্রতি ৫ হাজার মানুষের জন্য একটি খেলার মাঠ দেয়া হলেও এই এলাকায় ৬টি খেলার মাঠ থাকার কথা, আকার-আয়তনে যা ৬ থেকে ১০ একর হওয়ার কথা। তেঁতুলতলা মাঠের আয়তন এক বিঘার মত, ফলে এই স্থানটিও পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী শিশু-কিশোরদের খেলবার মত পর্যাপ্ত নয়।

এই খেলার মাঠ রক্ষার আন্দোলন নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান রাষ্ট্রের জন্য যেমন কল্যাণকর নয়, তেমনি কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও রাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

একইসঙ্গে আইপিডি মনে করে, নগর এলাকাসমূহ গড়ে তোলার পরিকল্পনা ও নগরসমূহ বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার মৌলিক দিকসমূহে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিদ্যালয়-পার্ক-খেলার মাঠ-থানা প্রভৃতি মৌলিক নাগরিক সেবাসমূহের জন্য ভূমি নির্ধারণ ও সংরক্ষণ ব্যতিরেকে নগর এলাকায় যত্র তত্র বাড়িঘর নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণহীন জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বাড়তে দিয়ে বিশাল সংখ্যক জনমানুষ বসবাসের ক্ষেত্রে এক চরমতর সংকটে পতিত হচ্ছে; পাশাপাশি রাষ্ট্র ও মৌলিক নাগরিক সুবিধা সংস্থান করতে গিয়ে নানাবিধ সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।

এই ধরনের অতি ঘন এলাকাতে বসবাসকারী শিশু-কিশোর-বৃদ্ধসহ সকল বয়সের মানুষের হাঁটার জায়গা, খেলার জায়গা ও বিনোদনের জায়গার অভাবে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যহানি ও অপরাধপ্রবণতার জন্ম দিচ্ছে। ফলে এলাকাভিত্তিক খেলার মাঠ-পার্ক-বিদ্যালয়সহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধাসমূহ তৈরি করার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ এখনই দরকার।

আধুনিক নগর পরিকল্পনায় খেলার মাঠ-পার্ক-উদ্যানকে স্বাস্থ্য অবকাঠামো বিবেচনা করা হয়, পাশাপাশি এই ধরনের নাগরিক সুবিধা সমাজে অপরাধের প্রবণতাও কমায় বহুলাংশে। ফলে এই ধরনের মাঠকে কেন্দ্র করে যে ধরনের সামাজিক যোগাযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তা গড়ে উঠে তার ফলে খেলার মাঠকে শৃংখলা ও নিরাপত্তা অবকাঠামো হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সকলেই জানি, আমাদের নগর এলাকায় সুস্থ বিনোদনের অভাবে শিশু-কিশোরদের অনেকেই মাদকাসক্তি, কিশোর গ্যাংসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। অনেকেই অবসাদগ্রস্ত ও বিষণ্ন হয়ে পড়ছে। শুধুমাত্র থানা বা জেলখানা নির্মাণের মাধ্যমে এই ভয়ংকর সামাজিক সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে না।

আমাদের রাষ্ট্রের আন্তরিকভাবে মনে রাখা প্রয়োজন, শিশু-কিশোরদের জন্য যদি আমরা উপযুক্ত পরিমাণ খেলার জায়গা না তৈরি করতে পারি, তবে খেলাধূলাবিহীন দৈহিক ও মানসিকভাবে দূর্বল, পঙ্গু, বিপর্যস্ত, পথহারা, দিকভ্রান্ত প্রজন্মের জন্য একটি এলাকায় একটি থানা কখনোই পর্যাপ্ত হবে না।

আইপিডি মনে করে, কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটি এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য ভূমি অধিগ্রহণের করার মাধ্যমে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় খেলার মাঠ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে বর্তমানে মাঠের চারপাশে দেয়াল নির্মাণের উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।

পাশাপাশি এই এলাকায় বিকল্প ভূমি অনুসন্ধানের মাধ্যমে থানা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেয়া একান্তভাবে অত্যাবশ্যক। কোন অবস্থাতেই স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশকে এই মাঠটি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করানো যাবে না, যা আমাদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে।

আইপিডি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে আমাদের সবার স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পাড়ার খেলার মাঠগুলোকে প্রাণবন্ত ও শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর করতে হবে। রাষ্ট্র ও সরকার আন্তরিক হলে সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল এলাকায় খেলার মাঠসহ সকল নাগরিক সুবিধার প্রয়োজনীয় সংস্থান করা সম্ভব।

আরইউ/এসএ/

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়