বাসের অগ্রিম টিকিটে এখনও চাপ কম
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীতে বিভিন্ন বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনে কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের তেমন কোনো ভিড় লক্ষ করা যায়নি।
শুক্রবার থেকে আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, প্রতিবার যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট কেনার জন্য দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলমুখী গাবতলী, শ্যামলি এলাকার কাউন্টারগুলোতে ভিড় করে; কিন্তু এবার এই রুটেও টিকিট কেনার চাপ কম।
জানা গেছে, গাবতলী,শ্যামলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড ও সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিট কেনার তেমন কোনো ভিড় নেই। এসব কাউন্টারের লোকজন বলছেন, গতকাল থেকে এ ২ দিন ধরে ৫-১০টা অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে।
টাঙ্গাইল ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও আশপাশের কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে দুয়েকজন নিয়মিত যাত্রী বসে আছেন। কাউন্টারে কর্মচারীরা নিয়মিত যাত্রী তুলতে ডাক ছাড়ছেন। এ সময় তেমন কাউকে ঈদের আগ্রিম টিকিট ক্রয় করতে দেখা যায়নি।
বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, টাঙ্গাইল ও সায়েদাবাদ রুটে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। প্রতিবার প্রথম দিনে টিকিট বিক্রির ভিড় থাকে কিন্তু এবার যাত্রীদের চাপ অনেকটা কম মনে হচ্ছে। অগ্রিম টিকিট কেনার যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই।
গাবতলী গোল্ডেন কাউন্টারের মাস্টার জসিম বলেন, করোনার সময়ে ও টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। কিন্তু এবার অগ্রিম টিকিট বিক্রির তেমন কোনো ভিড় নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমাদের কাউন্টারে নয় প্রায় সব কাউন্টারে একই অবস্থা এবার।’
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জাহিদ হাসান বলেন, ‘এই রুটে ঈদের ঘরমুখী যাত্রীদের খুব চাপ থাকে। ঈদের দুই-চার দিন আগে থেকে অনেক চাপ হয় এবং অগ্রিম টিকিট বিক্রি ও হয় তবে এবার অগ্রিম টিকিট বিক্রি নেই বললেই চলে।’
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রবিউল বলেন, ‘আমাদের এই রুটে চলাচলের জন্য অনলাইন, কাউন্টার দুইভাবেই টিকিট বিক্রি চলছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায় কাউন্টারে চাপ কম থাকে। মানুষ অনলাইনেই বেশি টিকিট কিনছে। তবে গত ঈদের মতো বাস স্টেশনে এসে যাত্রীরা তেমন টিকিট কিনছে না। কারণ তারা অনলাইনে ভালো সিট পেয়ে থাকে।’
এদিকে সায়েদাবাদ এলাকার অন্যান্য বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কাউন্টারেই যাত্রীদের লাইন নেই। দুয়েকজন করে যাত্রী মাঝে মাঝে এসে নিয়মিত টিকিট ক্রয় করছেন।
টাঙ্গাইল বাস টার্মিনালের সোনিয়া এন্টারপ্রাইজ বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা নজরুল বলেন, ‘এখনো একটিও অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়নি।’
টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় নিরালা পরিবহন কাউন্টারের কর্মকর্তা নুরুল হাবিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট চলে ব্যাপক হারে; কিন্তু এবার টিকিট বিক্রির প্রথম ২ দিনে মাত্র মোবাইল ফোনে ৬টা টিকিট বিক্রি করেছি।’
টাঙ্গাইল রুটে ধলেশ্বরী কাউন্টারের আবুল মনসুর রহমান বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার পযর্ন্ত মাত্র চারটা টিকিট বিক্রি করেছি, প্রতিবার যা থাকে ১০০ থেকে ২০০।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল)। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ টিকিট বিক্রি চলবে। এ জন্য প্রত্যেকটি পরিবহনের আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। তবে বিআরটিসি আগাম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেবে আগামী সপ্তাহে।
কেএম/এসএ/