অনলাইনে ও পাঁচটি স্টেশন থেকে ঈদের ট্রেন টিকিট
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগাম টিকেট বিক্রি করবে ২৩ এপ্রিল থেকে। চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। একই সঙ্গে চারটি রুটে থাকবে চারটি বিশেষ ট্রেন। ঈদের দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটে চলবে দুটি বিশেষ ট্রেন। শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও ২ নামে এই ট্রেন চলবে।
টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে রেল মন্ত্রণালয়। এবার কমলাপুর থেকে সারাদেশের ট্রেনের পাওয়া যাবে না। যাত্রীদের দৌড়াতে হবে পাঁচটি স্টেশনে।
প্রতিদিন ২৬ হাজার ৬৩৬৩টি টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে স্টেশন কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে অর্ধেক টিকেট এবং বাকি অর্ধেক পাওয়া যাবে অনলাইনে।
ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রার আগাম টিকিট পাওয়া যাবে ১ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত। বুধবার (১৩ এপ্রিল) রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি বিষয়ে এসব কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী জানান, ২৩ এপ্রিল পাওয়া যাবে ২৭ এপ্রিলের, ২৪ তারিখে মিলবে ২৮ তারিখের, ২৫ তারিখে মিলবে ২৯ তারিখের, ২৬ তারিখে মিলবে ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ তারিখে পাওয়া যাবে ১ মে এর ট্রেনের আগাম টিকেট।
তিনি জানান, ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে এবার যাত্রীরা টিকেট কাটতে পারবেন এনআইডি বা জন্মসনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকেট কাটতে পারবেন। কাউন্টারে টিকেট বিক্রি শুরু হবে প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে, চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। একইভাবে ইন্টারনেটে টিকেট বিক্রি হবে সকাল আটটা থেকে।
রেলমন্ত্রী জানান, এবার ঈদের আাগম টিকেট কিনতে অঞ্চলভেদে যাত্রীদেরকে ঢাকার পাঁচটি স্টেশন কাউন্টারে যেতে হবে। সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল এবং খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে স্টেশন থেকে। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে। ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেনসহ সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে তেজগাঁও স্টেশন থেকে।
মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাবে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে এবং ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে সিলেট কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট।
এ ছাড়া ঢাকা থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেনের আরও এক হাজার ৫০০ টিকেট কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে। বিক্রি হওয়া ঈদের অগ্রিম টিকেট ফেরত নেওয়া হবে না।
মোট চারটি স্পেশাল ট্রেন চলবে ঈদের আগে-পরে। আমাদের চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ ট্রেন চলবে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলবে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এবং খুলনা ঢাকা-খুলনা রুটে চলবে খুলনা স্পেশাল।
এর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল ১ও ২ এবং দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলবে। এই ট্রেনগুলো ঈদের পর ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলবে। অপরদিকে খুলনা স্টেশন চলবে শুধু মাত্র ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধুমাত্র মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি আলাদা কোচ সংযোজন করা হবে।
ঈদের পর একইভাবে ফেরত যাত্রার আগাম টিকেট বিক্রি হবে ১ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত। ১ তারিখে পাওয়া যাবে ৫ তারিখের, ২ তারিখে পাওয়া যাবে ৬ তারিখে ৩ তারিখে পাওয়া যাবে ৭ তারিখের এবং চার তারিখে পাওয়া যাবে ৮ মে’র আগাম টিকেট।
ঈদের সাত দিন আগে অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রী জানিয়েছেন নাশকতা এবং টিকেট কালোবাজারী কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এনএইচবি/এমএমএ/