থাইল্যান্ডের কাছে হেরে গেলো বাংলাদেশের মেয়েরা
নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের জয়ের রথ থেমে গেছে। জয়ের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শক্তির থাইল্যান্ড। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তারা জয় পেয়েছে ১৬ রানে।
বাংলাদেশের ৮ উইকেটে করা ১৭২ রানের জবাব দিতে নেমে থাইল্যান্ড ছিল জয়ের পথেই। ২ উইকেটে ১৩২ রান করার পর আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা খেলেছিল ৩৯ ওভার। ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে থাইল্যান্ড জয় পায় ১৬ রানে। তিন ম্যাচে এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম হার। বিপরীতে থাইল্যান্ডের তিন ম্যাচে ছিল দ্বিতীয় জয়।
প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানকে ৩ উইকেট হারিয়ে চমক দিয়ে আসর শুরু করার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে ইউএসএকে পাত্তাই দেয়নি। শারমিন আক্তার সুপ্তার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৫উইকেটে ৩২২ রান করে ম্যাচ জিতেছিল ২৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। পরপর দুই ম্যাচে এ রকম চমক জাগানিয়া নৈপুণ্যের পর থাইল্যান্ডের মতো দলের কাছে বাংলাদেশের এমন হার ছিল অপ্রত্যাশিত।
জিম্বাবুয়ের হারারেতে বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি। ব্যাট হাতে ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ( ৪৬), ফারজানা হক(৫১), রুমানা আহমেদ (২৭) ও লতা মন্ডল ছাড়া আর কেউ দৃঢ়তার পরিচয় দিতে পারেননি।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শারমীন আক্তার সুপ্তা ১ রানে ফিরে যান। দলপতি নিগার সুলতানাও অনুসরণ করেন শারমীনকে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুর্শিদা ও ফারজানা ৮৪ রান করে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দেন। কিন্তু ১৪ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে রুমানা ও লতা ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেননি। থাইল্যান্ডের নাত্তায়া বুচাথাম ৭ ওভার বোলিং করে ৫ উইকেট ও ২৬ রান নেন।
প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বাংলাদেশের এই রান অনেক নির্ভারই ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। অথবা উল্টো করে বলা যায় থাইল্যান্ডের ব্যাটম্যানদের আশাতীত ভালো ব্যাটিং বাংলাদেশের জন্য ক্রমেই হতাশা উপহার দিতে থাকে। দুই ওপেনার স্বর্নারিন টিপচ ও নাথাখান চানথাম ৯৮ রান যোগ করে দলের জয়ের ভীত তৈরি করে দেন। নাথাখান ৩৭ রান করে ফাহিমার শিকার হন। টিপচ ৬৯ রান করে আউট হন নাহিদার বলে ফাহিমার হাতে ধার পড়ে। নতুন দুই ব্যাটসম্যান নান্নাপাত ( ১৪*) ও নারিওমল (৫*) দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু দলের রান যখন ৩৯.২ ওভারে ১৩২ তখন শুরু হয় বৃষ্টি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে থাইল্যান্ডকে ৩৯.২ ওভারে টার্গেট দেয়া হয় ১১৭ রানের। কিন্তু তাদের রান ছিল সে সময় ২ উইকেটে ১৩২। ফলে ১৬ রানে জয় পায় তারা।
হারলেও ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের থেকে গেছে। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখনও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। পরের ম্যাচ খেলবে তারা ২৯ নভেম্বর স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
এমপি/এএন