বিবিয়ানার আরও ২ কূপ উৎপাদনে, কমতে পারে গ্যাস সংকট
উৎপাদনে এসেছে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বিবিয়ানার আরও দুই কূপ। এতে করে ১৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এর ফলে আজ গ্যাস সংকট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, গেল রবিবার (৩ এপ্রিল) রাতে বিবিয়ানার ছয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের সময় হঠাৎ বালি উঠতে শুরু করে। এ কারণে বন্ধ করে দিতে হয় উৎপাদন। এতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। বর্তমানে আবাসিক এলাকায় সাধারণত প্রায় ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হয়।
এর প্রভাবে রমজানের প্রথম দিনই রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষের ঘরে চুলা জ্বলেনি। হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হওয়ায় ইফতার বানাতে পারেননি অনেকেই। সেহেরিও সেরেছেনে কোনো রকমে। এর পরদিন অর্থাৎ সোমবার একটি কূপ উৎপাদনে এলে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হয়। এর ফলে রবিবারের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে দুপুরের পর বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাস ছিল না। যেসব জায়গায় ছিল সেখানে নিভু নিভু আগুনেই ইফতার তৈরি সেরেছেন রাজধানীবাসী।
তবে সোমবার সন্ধ্যার পর আবার পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়। আজ আরও ১৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হলো। এতে করে পরিস্থিতি আরও কিছুটা ভালো হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা ও শেভরন সংশ্লিষ্টরা।
শেভরনের এক কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে জানান, শেভরন বাংলাদেশ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য ইতোমধ্যে পেট্রোবাংলার সঙ্গে আলোচনা করে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। একটি কূপ আগেই উৎপাদনে এসেছিল। আজ আরও দুইটি কূপ উৎপাদনে এসেছে। আজকের মধ্যে আরও একটি কূপ উৎপাদনে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
তবে বাকি দুইটি কূপ আসতে দেরি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা। তারা বলছে, এই দুইটি কূপ আসতে দেরি হলেও ৮ এপ্রিল এলএনজি একটি কার্গো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এর রিগ্যাসিফিকেশন শুরু করতে করতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় যাবে। এরপর গ্যাসের এই সংকট পুরোপুরি কেটে যাবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্টরা।
গ্যাসের এই সংকট শুধু আবাসিকেই নয়, গত দুইদিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গিয়েও গ্যাস পাননি সিএনজিচালিত গাড়ির চালকরা। অধিকাংশ ফিলিং স্টেশনে ঝুলছিল ‘গ্যাস নাই’ সাইনবোর্ড। একই অবস্থা ছিল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোরও। অনেক ছোট ছোট শিল্প কারখানায় গ্যাসের অভাবে উৎপাদন প্রায় বন্ধই ছিল। আর বড় কারখানাগুলো উৎপাদন অব্যাহত রাখলেও বিকল্প উপায়ে চালাতে হয়েছে।
টিটি/