রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মুজিব শতবর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর ঘিরে এই নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন, সংসদ ভবন চত্বর এবং জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড এলাকায় থাকবে কঠোর নিরাপত্তা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামীকাল বুধবার সকালে ঢাকায় আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও বৈঠক করবেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনের অনুষ্ঠানমালার মূল আয়োজন হচ্ছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর এসব অনুষ্ঠানে দেশি ও বিদেশি অতিথিরা অংশগ্রহণ করবেন।
এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)। এছাড়া ডগ স্কেয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে সোয়াতের বিশেষায়িত টিম এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
অনুষ্ঠান ঘিরে ভেন্যু এলাকার সড়কে ডাইভারশন থাকবে। এ ক্ষেত্রে সকলকে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সফল করার জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ কমিশনার।
আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি তারা নিয়েছেন।
জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা সবসময় তৎপর থাকে। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল দেওয়ার চেষ্টা করে। এজন্য এ ধরনের অনুষ্ঠানকে গোয়েন্দাভিত্তিক সাজানো হয়েছে। প্রতিটি কর্নারে গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ভেন্যুর আশেপাশে পুলিশের যে নিরাপত্তা বলয় থাকবে তার ভেতরে যত আবাসিক হোটেল, মেস আছে- যেগুলো সন্দেহজনক মনে করছি ব্লক রেইড করা হচ্ছে। যাতে কোনও সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আমাদের নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে ঢুকে থাকতে না পারে।
আরইউ/এসআইএইচ/