রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে উজ্জীবিত বাঙালি

আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১। ঠিক ৫০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর আল-বদর, আল-শামসরা। সেদিন বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

প্রতিবছর এই দিনটি আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেনতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠণ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শহিদ পরিবারের সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্র প্রধানের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালেহ উদ্দিন ইসলাম তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী দেশের মহান বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

৫০ বছর আগে এই দিনে দেশের ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর চোখ বেঁধে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ মাটির দুই শতাধিক কৃতী সন্তানকে। প্রথমে তাদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরবর্তীকালে, নতুন উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার জন্য তাদের বিভিন্ন বধ্যভূমিতে নিয়ে, বিশেষ করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে হত্যা করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা খুনিদের রোষানলে পড়েন তাদের মধ্যে ছিলেন ডা. আলিম চৌধুরী এবং ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, সেলিনা পারভীন এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরীসহ আরও অনেকে। এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

 

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। একে একে সকল রাজনৈতিক দল পেশাজীবী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান ও কেন্দ্রিয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম (কামাল হোসেন অংশ), গণফোরাম (মন্টু-সুব্রত), গণসংহতি আন্দোলন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বে ডিআরইউ সদস্যরা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধু কৃষিজীবী পরিষদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ছাড়াও রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অনেকে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করার পাশাপাশি তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলেই এক সুরে কথা বলেন। অনেকে বলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,
‘মুক্তিযুদ্ধে আমরা যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক সেই সময় বাঙালির মেধা ও বিবেক হিসেবে খ্যাত বুদ্ধিজীবীদের জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে হত্যা করেছিল। সেদিন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পরাজিত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, বাঙালির কাছে। তাদের আন্তর্জাতিক যে প্রভু রয়েছে তারাও সেদিন পরাজিত হয়েছিল। আজকেও যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে এই বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। এই হল বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রত্যয়।’

দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা। সব বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলক হক বলেন, ‘পালিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনতে সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আশ্রয়দাতা দেশগুলো তাদের দেশের রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথা বলে তাদের হস্তান্তর করছে না।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা আন্তর্জাতিক চক্রকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তির এই সময়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। যে উদ্দেশে বুদ্ধিজীবীরা আত্মদান করেছেন, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এ বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করতে চলেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলাম, আমাদের অগণিত সৈনিক প্রাণ দিয়েছেন, বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ দিয়েছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র আমরা এখনও গড়ে তুলতে পারিনি।’

সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, যে উদ্দেশে বীর শহীদরা জীবন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাব। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেমন বাংলাদেশ গড়তে বীর শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘স্বাধীন ছিল মাত্র ২৪ দিন। ১৯৭১ সালে ৯ জানুয়ারির পর পাকিস্তানি শাসন ব্যবস্থা আবার জারি হয়ে গেছে। ৫০ বছরের অর্জন হলো, গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমরা যেতে পারিনি। এটাই হলো অর্জন। সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। এরপর গত ৫০ বছরে অর্জন কী, আর ভোট চুরি কী; কোনোটিরই মূল্যায়ন হয়নি।’

রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তি রাজাকার, আল বদর, আল শামসসহ যুদ্ধাপরাধে জড়িত সকলের পূর্ণাঙ্গ বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং তারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকলেই স্লোগান দিতে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

 

এসএম/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

প্রতিটি ডলারের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী  

কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মার্ক কার্নি। ছবিঃ সংগৃহীত

কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন কানাডার শীর্ষ নেতারা।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে 'ডলার-প্রতি-ডলার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে'।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত পাঁচজন প্রার্থী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যাদের একজন কার্নি। ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক এই গভর্নর কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির সর্বাধিক এমপির সমর্থন পেয়েছেন।

আগামী ৯ মার্চ লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হবে। আগামী ২০ অক্টোবর বা তার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫৯ বছর বয়সী কার্নি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো ভাবছেন কানাডা ভেঙে পড়বে। কিন্তু আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াব, পিছু হটব না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব।'

এমন শুল্কের জন্য বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের যে সুনাম, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

'এই শুল্ক (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রবৃদ্ধিতে আঘাত হানবে। মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। সুদের হারও বাড়াবে,' যোগ করেন তিনি।

শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র 'এক দশকের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তাদের সবচেয়ে কাছের বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছে' বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরেক প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে 'ডলার-প্রতি-ডলার' পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, নতুন শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডা 'জোরালো' ও 'তাৎক্ষণিক' জবাব দেবে।

Header Ad
Header Ad

সেই ইমনের ব্যাটে চড়েই কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং

ছবিঃ সংগৃহীত

পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ফিফটির পাশাপাশি আগ্রাসী ইনিংস খেললেন হায়দার আলী ও শামিম হোসেন পাটোয়ারী। এতে দুইশ ছাড়ানো বড় পুঁজি মিলল চিটাগং কিংসের। এরপর ডাভিড মালান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করলেও লক্ষ্য থেকে দূরে থামতে হলো ফরচুন বরিশালকে।

শনিবার ( ০১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগং জিতেছে ২৪ রানে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে তারা। জবাবে ৭ উইকেটে ১৮২ রানে থামে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।

এই জয়ে রংপুর রাইডার্সকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে গেছে চিটাগং। ১২ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্ট সমান ১৬ হলেও নেট রান রেটের ব্যবধানে রংপুরের (+০.৫৯৬) চেয়ে এগিয়ে আছে চিটাগং (+১.৩৯৫)। ফলে প্লে-অফ পর্বের প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে চিটাগং। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বরিশালই। আগামী সোমবার একই ভেন্যুতে ফের মুখোমুখি হবে দুই দল। জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল আরেকটি সুযোগ পাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে ওঠার।

Header Ad
Header Ad

সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা দিলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে, কেউ সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা হলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পৌর উদ্যানে আয়োজিত ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ভারতের চ্যাপ্টার এবার শেষ, আর ভারতের কোন দাসত্ব করা যাবে না। আমরা স্বাধীন, স্বাধীনভাবে চলতে চাই। বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলানীর লাশের মত ঝুলিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ অনেকের ক্ষমতা দেখেছে, কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতা দেখে নাই। মানুষ এখন মুখে মুখে বলছে জামায়াত এবার জয়ী হবে। গত ৫ আগষ্টের মতো একটা মিরাকেল হয়েও যেতে পারে যদি জামায়াত ক্ষমতায় এসে যায় তাহলে আমরা ইসলামী আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করবে। জাতীর স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। যাতে কোন অপশক্তি এই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।

এ সময় প্রতিনিধি সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে আমির আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্রধান আলোচক হিসাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য  অধ্যক্ষ মো. ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতিটি ডলারের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী  
সেই ইমনের ব্যাটে চড়েই কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং
সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা দিলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির
নওগাঁয় বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
বই ছাপানোর আগে বাংলা একাডেমি পড়তে দেয়া হাস্যকর : ফারুকী    
ঈদ পর্যন্ত মাকে নিজের কাছে রাখতে চান তারেক রহমান  
মোটরসাইকেলে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল এক তরুনীর দুলাভাই হাসপাতালে  
বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই, জানালো বিসিবি  
ইজতেমায় গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, কুশল বিনিময় করলেন মামুনুল হক সাথে  
ট্রাম্পের প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে যোগ দিতে কাল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ফখরুল-খসরু  
সাবিনা ইয়াসমীন আইসিইউতে    
ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণা স্তম্ভে’র ছবি, ময়লা ফেললেন প্রেসসচিব  
দেশের পুনর্গঠনে একমাত্র বিএনপি সক্ষম: তারেক রহমান  
কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ সরকারের
যমুনার দুর্গম চরে সুবিধাবঞ্চিতদের ফ্রী স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে হিউম্যান কনসার্ন
প্লে-অফে খুলনা টাইগার্স কপাল পুড়ল রাজশাহীর
অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠল  
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বললেন ‘রাষ্ট্র চলছে না’
ফরিদপুরে মন্দিরে সরস্বতীপ্রতিমা ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক
সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাঁচাতে ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা