জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করা সম্ভব: জার্মান রাষ্ট্রদূত
জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাংলাদেশ-জার্মানি কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার।
সোমবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘জার্মানি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান। অন্যান্যের মধ্যে ফ্রেডরিখ-অ্যাবার্ট-স্টিফটাং বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ফেলিক্স কোলবিৎজ এবং সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।
সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আমাদের কাছে সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আসছে।
৫০ বছরে জার্মানি এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে ফেলিক্স কোলবিৎজ বলেন, এখন আমাদের উচিৎ ভবিষ্যৎ সম্পর্কের পথরেখার প্রতি নজর দেওয়া।
সাবেক পূর্ব জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল উল্লেখ করে ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ৭০ এবং ৮০-এর দশকে এই সম্পর্ক ছিল কেবলই দাতা এবং গ্রহীতার। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর এই সম্পর্কের মাত্রা বদলে গেছে।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের উপদেষ্টা নাসিম ফেরদৌস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী, বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মুক্তাদির এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক ও গবেষক রুবাইয়াত হোসেন।
আরইউ/এমএমএ/