বাজারে গেলে মনে হয় না দেশে সরকার আছে: চুন্নু
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে কঠোর সমালোচনা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্ন বলেছেন, ‘বাজারে গেলে মনে হয় না, দেশে সরকার আছে। মনে হয় না সরকারের কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ আছে।’
সোমবার (২৮ মার্চ) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন যারা দেশের উন্নয়ন দেখেনা তাদের চোখ নষ্ট ,তাদেরকে ডাক্তার দেখাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করি আমরা দেখতে পাচ্ছি, উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক কিছু কিন্তু আমরা আরও দেখতে পাচ্ছি সারাদেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে হাহাকার করছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অনেক আছে, কোনো অভাব নেই। তারপরও মার্কেটে সমস্ত জিনিস পত্রের দাম অনেক বেশি। শুধু তাই না আমাদের খাদ্যমন্ত্রী বললেন স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি খাদ্য গুদামে মজুদ তাতে প্রায় ২০ লাখ টন মজুদ আছে। তারপরেও চাউলের দাম এত বৃদ্ধি পেলে কেন? বাজারে গেলে মনে হয় না সরকার আছে। মনে হয় না সরকারের কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ আছে।
চুন্নু বলেন, আমি নিজেও বাজারে যাই। এ সময় নিজ এলাকায় লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমার এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে, বাকি ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ নাই।
এরশাদ সরকার আর বিএনপি সরকার (জিয়ার শাসনামল) অবৈধ সরকার বলায় মনক্ষুন্ন হয়েছেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।
তিনি বলেন, জিয়ার সঙ্গে এরশাদের অবৈধ সরকার এই যে কথাটা এক সঙ্গে, এটা ঠিক না। ১৯৮৬-১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকার হাইকোর্টের রায় বৈধ সরকার হিসেবে রায় দিয়েছে।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, নিঃসন্দেহে সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। জনগণ যে দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে।
সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। টিসিবির পণ্য ন্যায্যমূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এখানে সবথেকে উদ্বেগের সরকারি কর্মকর্তারা এখন এই কাজে ব্যস্ত, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলায় ডিলার আছে। এখন গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন যন্ত্র প্যাকেজিং কাজে লিপ্ত হয়েছে, জনগণ সেবা পাচ্ছে না। উপজেলা জেলা প্রশাসনে এই কাজে লিপ্ত। সেখানে গত এক মাস যাবৎ জেলা প্রশাসকরা প্যাকেট করছে দুই কেজি তেল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি চিনি এবং বাধ্য করা হচ্ছে গরিব মানুষকে প্যাকেজ নিতেই হবে। ছোলা খেজুর রিকসাওয়ালা দিনমুজুরের প্রয়োজন আই তবুও প্যাকেজ নিতে বাধ্য করছে।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। নির্মাণ সামগ্রী গত কয়েক মাসে সম্পূর্ণভাবে স্থবির।
রড এর কেজি ৫০ টাকা ১০০ টাকা, সিমেন্টের বস্তা ৩০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, বালুর দাম বেশি, ইটের দাম বেশি, সমস্ত কিছু দাম বেশি। যে কারণে সমস্ত দেশে স্কুল কলেজ নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসএম/এমএমএ/