কিছু র্যাব কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে র্যাব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কোনো কারণ ছাড়াই এ বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অপরাধীদের রক্ষা করে ও তাদের দেশে আশ্রয় দেয় এবং কোন প্রকার অপরাধ ছাড়াই আমাদের দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এটাই তাদের চরিত্র। কাজেই তাদের ব্যাপারে এ ছাড়া আমি আর কি বলতে পারি।’
সোমবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।
রাজধানীতে এ বাহিনীর সদরদপ্তরে লে. কর্ণেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। র্যাবের ১৫ ব্যাটালিয়নের প্রত্যেকটি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের আশ্রয় এবং তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নারী ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করে সে সব খুনিদের ফেরত পাঠাতে তার সরকার যুক্তরাষ্টের বিচার বিভাগের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে ফেরত পাঠানোর পরিবর্তে তাদের দেশে তারা খুনিদেরকে আশ্রয় দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে যে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্য, র্যাব বা পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তুু এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে তাদের কোনো বাহিনী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। আবার তারাই কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের কিছু র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।’
যুক্তরাষ্ট্রে এক শিশুকে এবং বুটের পাড়া দিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার যে কোনো সদস্য অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে যে কেউ অপরাধ করলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন না কি কারণে তারা হলি আর্টিসান ক্যাফে হামলাসহ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে র্যাবের সফলতায় কেন যুক্তরাষ্ট্র কষ্ট পেল।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক বিষয় হচ্ছে যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে র্যাব ২, ১০, ১৩ ও ১৪’র ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তর, র্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং স্কুল, ‘মুজিব কর্ণার’ সম্বলিত র্যাব হেরিটেজ মিউজিয়াম উদ্বোধন করেন। তিনি র্যাব-৩ ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এসএম/এমএমএ/