মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘রাশিয়ার সহযোগিতা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে এত দ্রুত বিজয় অর্জন সম্ভব হতো না’

মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া এত দ্রুত বিজয় অর্জন সম্ভব হতো না বলে মত দিয়েছেন বক্তারা। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক সম্মেলনে এই মত দেন তারা।

কমিটির আয়োজনে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আলোচনার বিষয় ছিল: ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদান’।

সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়ান রিপাবলিক এবং ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের অতুলনীয় অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে মাত্র নয় মাসে কখনও আমরা এই বিস্ময়কর বিজয় অর্জন করতে পারতাম না, যদি ভারতের পাশে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পরাশক্তির কার্যকর সহযোগিতা না পেতাম। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর পরই সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নজিরবিহীন গণহত্যার নিন্দা করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করতে গিয়ে ভারত যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একরকম একঘরে হয়ে গিয়েছিল সেই দুঃসময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন দৃঢ়ভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকার নেত্রী মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত আমাদের পাশে এসে যেভাবে দাঁড়িয়েছিল তা আমাদের অনেক বড় সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে আমরা একটি দুর্ধর্ষ সামরিক বাহিনীকে জনযুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করেছি। সোভিয়েত, ভারত শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয় বরং মানবিক মমত্ববোধের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পর্যায়েও মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সহায়তা করেছে। আমার মা কবি সুফিয়া কামালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানকে চিঠি পাঠিয়েছিল। আমাদের বাড়ির পেছনে সোভিয়েত কালচারাল সেন্টারের নবিকভ নামক কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমার মার নিরবিচ্ছিন্ন খোঁজখবর রেখেছেন। গিয়াসউদ্দিন স্যার সোভিয়েত কালচারাল সেন্টারে এসে পোশাক পরিবর্তন করে আমাদের বাসায় এসে মার সংগ্রহ করা রেশন ফেরিওয়ালার বেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিতেন। আমার আশা নতুন প্রজন্ম এসব ইতিহাস জানার চেষ্টা করবে এবং আমাদের শত্রু-মিত্রকে চিনতে পারবে।’

সভাপতির বক্তব্যে নির্মূল কমিটির রাশিয়া শাখার উপদেষ্টা, রাশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোতালিব পাটওয়ারী বাহার বলেন, ‘ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরপরই রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে ১৯৭১ সালে ৩ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অতঃপর রাশিয়াও বাংলাদেশ-ভারতের পাশে এসে দাঁড়ায়। রাশিয়া বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য পারমাণবিক ক্ষমতাধর সাবমেরিন বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন করে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর এবং চীন ও পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের দিকে এগুনোর আর সাহস পায়নি। এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর পাহারা দিয়ে বাংলাদেশকে বর্হিশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।’

নির্মূল কমিটির রাশিয়া শাখার উপদেষ্টা, রাশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোতালিব পাটওয়ারী বাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

আলোচনায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, লেখক গবেষক মফিদুল হক, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ভূতত্ত্ববিদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী, নির্মূল কমিটির রাশিয়া শাখার উপদেষ্টা, রাশিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ রাশিয়ার সভাপতি ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ, নির্মূল কমিটির রাশিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রাশিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবীর কুমার সরকার, ঢাকার ল্যাব এইড লিমিটেড-এর কনসালটেন্ট সোনোলজিস্ট, নির্মূল কমিটির রাশিয়া শাখার সাবেক সহসভাপতি ডা. মমতাজ রহমান।

এমএ/এএন

Header Ad
Header Ad

সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এইচআরএসএস’র তথ্য মতে, ২০১৫ সালে ৪৩ জন, ২০১৬ সালে ২৮, ২০১৭ সালে ৩০, ২০১৮ সালে ১৫, ২০১৯ সালে ৪২, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ২৩, ২০২৩ সালে ৩০ ও ২০২৪ সালে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছে। এছাড়া এই দশ বছরে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮২ বাংলাদেশি আহত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক শুধু ২০২৪ সালে ৫৭টি হামলার ঘটনায় ঘটে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃক ১৫টি হামলার ঘটনায় ৪ জন বাংলাদেশি নিহত, ১০ জন আহত, ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও খাসিয়াদের হামলায় ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সিদ্ধান্ত নিলেও এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষকে এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে শূন্যে নিয়ে আসার বিষয়ে আহ্বান জানাই।

এছাড়া সীমান্তে পূর্ববর্তী সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার সময়ে মানুষের নামাজ পড়ারও অধিকার ছিল না: আব্দুস সালাম পিন্টু

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, শেখ হাসিনার সময় এ দেশে কথা বলার অধিকার ছিল না, নামাজ পড়ারও অধিকার অনেকের ছিল না। মানুষের বিপদের কথাটাও মানুষের কাছে বলতে দিতো না। একটা ভয়াবহ অস্থিরতার মধ্যে দেশ চলছিল। এই দেশকে হাসিনার হাত মুক্ত করেছে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা। তবুও ষড়যন্ত্র থেমে থাকে না। যেদিন স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন হওয়ার পরের দিন থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে।

সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন- মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে এসেছি। আমি একটা মৃত মানুষ, জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছি। আমার জীবন তো শেষ হয়ে যেতো। এখন শেখ হাসিনা থাকলে আমি আর কথা বলতে পারতাম না। যেহেতু মুক্ত হয়েছি জালিমের কারাগার থেকে সেই জালিমের কারাগারে রিমান্ডের নামে অত্যাচার, জুলম, নির্যাতন যেভাবে আমি ভোগ করেছি সেইভাবে আপনারাও বাইরে থেকে অনেকে ভোগ করেছেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী দেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা উন্নত করা, সঙ্গে সঙ্গে বেকার সমস্যা সমাধান পাশাপাশি শিল্প বিপ্লবের ডাক দিলেন। একদিকে কৃষি উৎপাদন, আরেক দিকে শিল্প বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অর্থনীতির দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করলেন।

পিন্টু বলেন- এই দেশ যখন উন্নতি হবে, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, বিশ্বের বুকে একটি নেতৃত্ব স্থানীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে সেই সময় চক্রান্তের পর চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছি। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর এই দেশে কি হয়েছিল আপনারা জানেন। আপনারা জানেন, জিয়াউর রহমান এই দেশে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন, সবাইকে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে ফেরত এনেছিলেন।

টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, দীর্ঘ ১৭ টি বছর এ দেশের মানুষ আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে যার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। ভারতের দালালি করিনি। ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্রের জালে লিপ্ত হয়নি। বর্তমানে চক্রান্ত হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

এ নেতা আরও বলেন, এ দেশে শুধু ছাত্ররা জীবন দেয়নি। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ প্রাণ দিয়েছে। যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা প্রাণ দিয়েছে কী কারণে দিয়েছে? এ দেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব সাধারণ মানুষের পাশে থাকব, মানুষের সেবা করব। আমার জন্য আপনারা নামাজ পড়ে, তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করেছেন এ জন্য আল্লাহর রহমতে মুক্তি পেয়েছি। কোনোদিন অন্যায় করিনি আর অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। আপনারা অন্যায়ভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করবেন না। সততার সঙ্গে ব্যবসা করবেন। অন্যায় করা যাবে না দুর্নীতি করা যাবে না। নিজেদের মধ্যে দলাদলি ভালো না। ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

এ সময় নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াসসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরআগে উপজেলা ও আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ইফতারে অংশ নেন।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন মারা গেছেন

নাজিম উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ (৫৭) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ভাতিজা ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হাসিবুল সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিনের মৃত্যুতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম শোক প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, নাজিম উদ্দিন বিএনপি জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার এবং ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে দ্বিতীয়বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের ভাদুর মিয়া বাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে নাজিম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, নাজিম উদ্দিন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস
হাসিনার সময়ে মানুষের নামাজ পড়ারও অধিকার ছিল না: আব্দুস সালাম পিন্টু
বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন মারা গেছেন
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবি নয়: এনডিএফ
সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
সালমান এফ রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ, দুটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ
পাগল বেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর খালিদ গ্রেপ্তার
একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত
হাতের ইশারায় পলকের সালাম, বললেন মুখ খুললেই বাড়ে মামলা
দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
কাফির বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
এবার ঈদের আগে বাজারে আসছে না নতুন নোট