জনগণের হাতে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ফটো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে গণতন্ত্র ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল, জিয়ার পকেটে ছিল বা এরশাদের পকেটে ছিল বা খালেদা জিয়ার ব্যাগে ছিল, সেটাকে আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণের ক্ষমতায়ন আমরা করেছি। সেখানে যদি বিএনপির নেতারা গণতন্ত্র না দেখে, আর উন্নয়ন না দেখে তাহলে তো বলার আর কিছু থাকে না।’
রবিবার (২৭ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতিরা সভায় বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের জন্ম সামরিক ছাউনি থেকে তারাই আজকে বলছে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছি। যাদের হাতে গণতন্ত্র ধ্বংস তাদের কাছ থেকেই গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয় এটাই হচ্ছে দু:খজনক।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র জনগণের হাতে আমরা ফিরে দিয়েছি। যে গণতন্ত্র ক্যানটনমেন্টে বন্দি ছিল, জিয়ার পকেটে ছিল বা এরশাদের পকেটে ছিল বা খালেদা জিয়ার ব্যাগে ছিল, সেটাকে আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণের ক্ষমতায়ন আমরা দিয়েছি। সেখানে যদি বিএনপির নেতারা গণতন্ত্র না দেখে, আর উন্নয়ন না দেখে তাহলে তো বলার আর কিছু থাকে না।’ প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন,বাংলাদেশের জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? ওদের নেতা কে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি নেতাদের) একটা গুণ আছে, তারা মিথ্যা কথাটা ভালোভাবে বলতে পারে। সেই ভাঙা ছুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে কোকো লঞ্চ ১, ২, ৩, ৪ বের হলো, ড্যান্ডি ডাইং বের হলো, তারপর কত কিছু তো বের হলো। যাত্রা তো ভাঙা ছুটকেস ছেঁড়া গেঞ্জি নিয়ে। যারা দুর্নীতি করে অর্থ পাচার করে। খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা অর্থ ফেরতও এনেছি। এরা দুর্নীতির কথাইবা বলে কিভাবে, ভোটের কথাই বা বলে কি করে? উন্নয়ন চোখে পড়েই না কি করে?
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? ওদের নেতা কে? এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী অথবা গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, অর্থ পাচারকারী সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তাদের দলের নেতা, তো সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দিতে যাবে? মানুষ তো ভোট দেবে না। মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা যে ওয়াদা করেছি সেই ওয়াদা পূরণ করেছি। সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আর বাংলাদেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। জাতির পিতার যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়েছিলেন, সেই জয় বাংলা ফিরে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজকে প্রতিষ্ঠিত। আজকে বাংলাদেশের মানুষকে আর কোনো বিকৃত ইতিহাস শুনতে হবে না। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আদর্শ নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশ সম্মান নিয়ে চলবে। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা পাবে। এটাই আমাদের আজকের প্রতিজ্ঞা।
এসএম/আরএ/