নির্মূল কমিটির আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার
মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছি: পি কে ঘোষ
স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকীতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে ‘২৬ মার্চ ১৯৭১: প্রথম মুক্তিবাহিনী গঠন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির তার সূচনা বক্তব্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এক অজ্ঞাত নায়ক বিএসএফের মেজর পি কে ঘোষকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত ভারতীয় নায়কদের সন্ধানে আমার তিরিশ বছরের অভিযানে বহুজনকে পেয়েছি, যারা মুক্তিযুদ্ধের এক একটি অধ্যায়কে এক একভাবে আলোকিত করেছেন। তিরিশ বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জীবিত ছিলেন না। তবে ১৯৭১-এ এই মহান নেত্রীর সহযোগী যারা মুক্তিযুদ্ধের বাইশ-তেইশ বছর পরও বেঁচেছিলেন তাদের সাক্ষাৎকার আমি গ্রহণ করেছি। ফিল্ড মার্শাল মানেকশ, জেনারেল অরোরা, জেনারেল জ্যাকব, জেনারেল উবান, জেনারেল থাপান, জেনারেল লছমন সিং, মন্ত্রী করণ সিং, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা পিএন হাকসার, পররাষ্ট্র সচিব টিএন কল, গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর প্রধান আরএন কাও ও বিএসএফ প্রধান রুস্তমজীসহ ভারতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আরও অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ভারতের বিএসএফ-এর তৎকালীন তরুণ কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন পরিমল কুমার ঘোষ, বন্ধুমহলে যিনি ‘পি কে ঘোষ’ নামে পরিচিত এবং ’৭১-এর রণাঙ্গনে পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন আলী নামে।’
‘মুক্তিযুদ্ধে যে বিএসএফের অবদান বিশেষ কারণে ভারত সরকার গোপন রেখেছিলেন ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর তা এবারই প্রথম জনসমক্ষে এসেছে। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বাংলাদেশের মতো ভারতেও আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে, যেখানে বিএসএফের অবদান বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত বিএসএফের বার্ষিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে মেজর পি কে ঘোষের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ (তখন পাকিস্তান) সীমান্তে শ্রীনগর ‘বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার বিএসএফের বত্রিশ বছর বয়সী তরুণ ক্যাপ্টেন পি কে ঘোষ কীভাবে বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রথম দল গঠন করেছিলেন, যারা ফেনী-চট্টগ্রাম সীমান্তের শুভপুর ব্রিজে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে পরাজিত করে সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দখল করেছিলেন তারই অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ও চিত্তাকর্ষক বর্ণনা রয়েছে মেজর পি কে ঘোষের নাতিদীর্ঘ রচনায়।
ভারতের বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর পি কে ঘোষ মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি ডাক্তার হতে চেয়েও সেনাবাহিনীতে যোগদান করি এবং ১৯৭০ সেনাবাহিনী থেকে বিএসএফ-এ বদলি হয়ে ত্রিপুরায় যোগদান করি। পাশেই ছিল ফেনী নদী ও চট্টগ্রাম শহর যা মুক্তিযুদ্ধের খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত ছিল। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পাক বাহিনী চট্টগ্রামের পোর্টে পৌঁছালে আমরা উপরের নির্দেশে ত্রিপুরায় সতর্ক অবস্থান নিই। সেদিন দুপুরে বাংলাদেশের সীমান্তের ওপার থেকে ইপিআরের হাবিলদার নূরুদ্দিন, আওয়ামী লীগের এমএনএ অধ্যাপক ওবাইদুল্লাহ মজুমদার ও ডা. আমির হোসেন আমার কাছে এসে বাংলাদেশে পাক বাহিনী হত্যাযজ্ঞের কথা জানান। সেই গ্রামে পাক বাহিনীর নানা অত্যাচারের কথা জানিয়ে তাদের কাছ থেকে বাঙালিদের রক্ষা করার জন্য আমাকে অনুরোধ জানান। আমি উপরের নির্দেশ প্রাপ্ত না হওয়ার কারণে তাদের কাছে অপারগতা প্রকাশ করে কিছু আত্মরক্ষামূলক পরামর্শ দিই। কিন্তু তারা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে মানবতার দোহাই দিলেন। আমি তাদের যুক্তি মেনে নিলাম। সমস্যা হলো বিএসএফের উর্দি পরে আমি সীমান্ত অতিক্রম করতে পারব না। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ মজুমদার বললেন, আমি পটিয়া কলেজের অধ্যক্ষ। আমি আপনাকে গ্রামবাসীর কাছে আমার সহকর্মী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেব। তখন আমি প্রফেসর আলী ছদ্মনাম গ্রহণ করে তাদের সঙ্গে সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে গেলাম। গ্রামের মানুষ তাদের নেতা অধ্যাপক মজুমদারকে কাছে পেয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে উচ্চ কণ্ঠে স্লোগান দিলেন ‘জয় বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ...।’
তিনি বলেন, ‘স্লোগানের তাৎক্ষণিক জবাবে পাকিস্তানি সৈন্যরা গ্রামের দিকে তাক করে মেশিনগানের গুলি বর্ষণ করল। তবে এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি শত্রুর অবস্থান জানার উদ্যোগ গ্রহণ করলাম। বিকেল ৫টা নাগাদ আমি হাবিলদার নূরউদ্দিনের নেতৃত্বে ইপিআরের ছয়জন তরুণকে নিয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রথম দল গঠন করলাম। তাদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে ব্রিজের তলায় অবস্থান নিতে বললাম। পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থান ছিল ব্রিজের ঠিক উপরে। তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলাম। গেরিলা যুদ্ধের কৌশল তো বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণেই বলেছিলেন। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। শত্রুকে ভাতে মারতে হবে, পানিতে মারতে হবে। আমি ইপিআরের তরুণদের বললাম, তারা পাকিস্তানি সৈন্য গ্রামে প্রবেশ থেকে বিরত রাখবে, কোনোভাবে তাদের নদীর দিকে নামতে দেবে না এবং একবারে এক রাউন্ডের বেশি গুলি ছুঁড়বে না। কারণ সেই সময় আমার কাছে মাত্র ৩০০ রাউন্ড গুলি ছিল, যা তাদের ভাগ করে দিয়েছিলাম।
‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমি শ্রীনগর পোস্টে ফিরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠালাম, আমার সীমান্ত অতিক্রম করার বিষয়টি গোপন রেখে। পরদিন সকালে কর্নেল অরুণ কুমার ঘোষ এলেন। আমার রিপোর্টের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানালেন। একজন শৃঙ্খলাপরায়ন সৈনিক হিসেবে আমার সীমান্ত অতিক্রমের কথা তাকে বললাম। সঙ্গে সঙ্গে আমার সিও-র মেজাজ পাল্টে গেল। ক্ষুব্ধ গলায় তিনি চিৎকার করে বললেন, ‘কোন সাহসে তুমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছ?... তোমাকে কোর্ট মার্শালের সম্মুখীন করা হতে পারে,’ এই বলে ক্ষুব্ধ মেজাজ নিয়েই তিনি চলে গেলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আচরণের জন্য আমার খারাপ লাগলেও আমি বিন্দুমাত্র দুঃখিত ছিলাম না। সীমান্তের ওপারের হতভাগ্য নিরাপরাধ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের জন্য। আমি স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত। তিনি বলেছেন, ‘বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে, অসহায় প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে’।
তিনি বলেন, আমি অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই হাবিলদার নুর উদ্দিনকে। সেই সময় তিনি ও তার বাহিনী যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা অভাবনীয়। সে সময়ে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
‘জীবন মানেই যুদ্ধ। আজ আমি ৮৩ বছর বয়সে এসে কর্কট রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এ রোগের সঙ্গে লড়াই করার অনুপ্রেরণা একাত্তরের লড়াই থেকে পেয়েছি।’
নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে ভারতের বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর পি কে ঘোষ। বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুণ হাবীব, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আমজাদ হোসেন, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূতত্ত্ববিদ মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজকর্মী রোকেয়া কবীর, প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিটি তুরস্কের সাধারণ সম্পাদক লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, নির্মূল কমিটির তরুণ নেতা কণ্ঠশিল্পী শাহরুখ কবির এবং নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল।
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক বলেন, ‘আগরতলায় পৌঁছি মে মাসে। সেখানে দেড় মাস ছিলাম। এ কে খন্দকার আমার ব্যাপারে পি সি রাও-এর কাছে সুপারিশ করেন। তিনি আমাকে কলকাতার বারাকপুরে নিয়ে যান। বারাকপুরে বাংলাদেশে ও ভারতের সামরিক বিভিন্ন পজিশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটিতে ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল তেওয়ারি, এয়ার ভাইস মার্শাল দেওয়ান, এয়ার কমোডর এ কে খন্দকার, পিসি রাও, ক্যাপ্টেন চন্দন সিং মহাবীরচক্র এবং আমিসহ আরও কয়েকজন।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুণ হাবীব বলেন, ‘আজকের এই অভাবনীয় আয়োজন করার জন্য শাহরিয়ার কবিরকে ধন্যবাদ। ত্রিপুরার অংশ কাজ করতে গিয়ে পি কে ঘোষের নামের সঙ্গে যুক্ত হই। পি কে ঘোষের মতো অনেককে এতোদিন পর্যন্ত স্মরণ করতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা। মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু হিসেবে পি কে ঘোষকে সম্মানিত করতে পারলে বাংলাদেশের মানুষ গর্ববোধ করবে। ১৯৭১ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যুদ্ধের মাধ্যমে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই সম্পর্ক আজীবন থাকবে।’
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আজকের আয়োজন আমাকে কাঁদিয়ে দিয়েছে। মহিয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধী যদি ওতোপ্রোতভাবে এগিয়ে না আসতেন ভাগ্যে কি ঘটত তা বর্ণনাতীত। পি কে ঘোষকে এতদিন কেন সম্মান জানাতে পারিনি সেটা আশ্চর্যের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধে পি কে ঘোষ যেভাবে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন এবং ভারতীয়রা যেভাবে সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছিলেন তা অভূতপূর্ব।’
আবেগ জড়িত কণ্ঠে নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূতত্ত্ববিদ মকবুল-ই-ইলাহী তার বক্তব্যে পি কে ঘোষকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে দ্রুত বাংলাদেশে এসে সম্মাননা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।’
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজকর্মী রোকেয়া কবীর বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ এসে সশরীরে যুদ্ধ করায় পি কে ঘোষকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাঁকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান।’
এনএইচবি/আরএ/