শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করলাম: প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধানে দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানে নির্দেশনাগুলো ছিল সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তা এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ কোন খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কখনও ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাব। শতবর্ষ উদযাপন করবে আগামী দিনের প্রজন্ম। তারা করবে ২০৭১ সালে। কাজেই তাদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রীর সমাপনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৬ মার্চ) বিকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনি অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ এর চারদিন ব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূল মঞ্চে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। চারদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আলোর পথের যাত্রা শুরু করেছে। আমি যে ঘোষণা দিয়েছিলাম আজকে ঠিকই আলোর পথে যাত্রা শুরু করে সমগ্র দেশের মানুষের প্রতি ঘরকে আলোকিত করার সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।’

বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ কোনো খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কখনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তা এগিয়ে যাবে। আজকে যে প্রজন্ম, তাদের কাছে এটাই আহ্বান আমরা যে পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি। যেমন ২০০৮-২০২১ পরিকল্পনা যে পরিকল্পনা দেই সেটা বাস্তবায়ন করেছি। আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে যাচ্ছি, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। বাংলাদেশকে যেন আর কখনও কেউ অবহেলা করতে না পারে। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শিক্ষা, দীক্ষায়, জ্ঞানে, প্রযুক্তি জ্ঞানে, বিজ্ঞান সব দিক থেকে যেন আমরা এগিয়ে থাকতে পারি। বাংলাদেশের মানুষের যে মৌলিক চাহিদা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। যেটা জাতির পিতা স্বাধীনতার পর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে আমাদের যে সংবিধান দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানে এসব মৌলিক চাহিদার কথা উল্লেখ ছিল।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যেন আর কেউ অবহেলা করতে না পারে। মাথা উঁচু করে চলতে পারে। উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে হবে। ২০৪১ সালে কেমন বাংলাদেশ হবে তার প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি। ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়ে যাচ্ছি। ব-দ্বীপটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বাংলাদেশ সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরে এগিয়ে যাব। এগিয়ে যাওয়ার গতি ধরে রাখতে হবে।

আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ, কেমন বাংলাদেশ হবে সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা পুন:প্রণয়ন করে দিয়ে গেছি। এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৫ম বার্ষিকী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ১০০ বছর অর্থাৎ ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়ে গেছি, তারও কিছু প্ল্যান বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এই ব-দ্বীপটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে কেমন বাংলাদেশ দেবে, আর এদেশের মানুষ কীভাবে বাঁচবে তারা যে উন্নত জীবন পাবে সেই লক্ষ্য নিয়েই এটা করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতার যে লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এই দেশের কোনো মানুষই আর ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। সেটা আমরা নিশ্চত করব।

তার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাব। শতবর্ষ উদযাপন করবে আগামী দিনের প্রজন্ম। তারা করবে ২০৭১ সালে। কাজেই তাদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করে আজকের স্বাধীনতার জয় বাংলার জয়োৎসবের উদ্বোধন করলাম।

এরপর চলে দেশের বরণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোজ সজ্জা। দলীয় ও একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে জয় বাংলার জয়োৎসব অনুষ্ঠানকে আলোড়িত করে।

এসএম/এমএমএ/

 

 

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তারুণ্য উৎসব-২০২৫' আয়োজিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এনডিসি শীষ হায়দার চৌধুরী। অন্যান্য অতিথিরা হলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন, পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এম. এ. এন শাহীন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং তারুণ্যে উৎসবের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের  উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর 'জুলাই বিপ্লব ও তথ্য প্রযুক্তি' বিষয়ক ডকুমেন্টারি এবং 'জুলাই বিপ্লবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়' দুইটি পৃথক ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। তারুণ্য উৎসবে অনলাইন ভিত্তিক কুইজ এবং একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। 

বিশেষ অতিথি শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, 'তারুণ্য উৎসবের মাধ্যমে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে আমরা একটি মেসেজ দেওয়া চেষ্টা করছি এদেশের তরুণরাই সবকিছুর চালিকা শক্তি। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে এটা প্রমাণিত। তারুণ্য উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার কারণ হলো জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্থান ছিল কুমিল্লা। এছাড়া এই এলাকা একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এডুকেশন হাব। এই অঞ্চলে একসঙ্গে অনেক ভালো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরবর্তী ইনোভেশন হাবটি আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করবো।'

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলী বলেন, 'আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তাদের অনুষ্ঠানের ভেন্যু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার জন্য এবং আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে। তরুণদের এগিয়ে যাএয়ার পথ এখন সেটা তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ।  তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে  তরুনদের উদ্ভাবন ও উদ্দোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আজকের আইসিটি মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ এখন এসব বিষয়ে তরুণদের টার্গেট হওয়া উচিত। যদি মন্ত্রণালয় থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কিছু প্রজেক্ট হাতে নেয় সেখানেও আমরা সহযোগিতা করবো।'

তিনিও আরো, 'বলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়কে সচিব ঘোষণা দিয়েছেন এখানে একটি আইসিটি হাব হবে এতে আমি আমি খুব খুশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খুশি। তরুণদের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এই হাবটিকে আমরা দেশের প্রথম এআই হাব বানানোর জন্য চেষ্টা করবো। কারন, এই সেক্টরে দেশ ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।'

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'আমাদের পুরো কার্যক্রমকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ভাষার মাসে আমাদের যে এই সুন্দর আয়োজন আমি শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি, বিশেষ করে চব্বিশে জুলাই বিপ্লবে যে আত্মত্যাগ ছিলো তাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করি। গভীরভাবে স্মরণ করছি আমাদের ছাত্র শহিদ আবদুল কাইয়ুমকে যিনি চব্বিশের আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন।' 

তিনি আরও বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি আরও বলে দিতে চাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে গ্লোবাল প্রডাক্ট হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে হবে।'

Header Ad
Header Ad

নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ

সালাহউদ্দিন আম্মার এবং মেহেদী সজীব। ছবি: সংগৃহীত

নবগঠিত ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই সমন্বয়ক। ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আধিপত্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।

পদত্যাগকারী দুই নেতা হলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব ও যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তারা উভয়েই রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।

গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসান-এর নাম ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মেহেদী সজীবকে, আর ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হন সালাহউদ্দিন আম্মার। কিন্তু কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা দুজনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ফেসবুকে মেহেদী সজীব লিখেছেন- ‘নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে রাজি না।’

তিনি আরও লেখেন- ‘আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছে, যা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে ঢাবিকেন্দ্রিক মনোভাব যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যেতে রাজি নই।’

সালাহউদ্দিন আম্মারের বক্তব্য- ‘এই সংগঠন সর্বজনীন হতে পারত, কিন্তু বর্তমান অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। আমাদের আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তাদের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন- ‘রাবি শিক্ষার্থীরা চাইছে না ঢাবিকেন্দ্রিক আধিপত্য বজায় থাকুক। তাই আমরাও থাকতে চাই না।’

এই পদত্যাগের ঘটনায় সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে। সংগঠনটি কতটা সর্বজনীন হতে পারবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

Header Ad
Header Ad

রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট

ছবি: সংগৃহীত

একযুগ পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নওগাঁয় সদর উপজেলা ও পৌরসভার কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই যেখানে ভোটাররা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের প্রত্যক্ষ ভোট প্রদান করবেন। দীর্ঘদিন পর কাউন্সিল হওয়ায় প্রার্থী ও সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা নিজেদের জানান দিতে গত কয়েকদিন থেকে শহর ও গ্রামে মাইকের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। তবে কার গলায় উঠবে বিজয়ের মালা তা ঠিক করবেন ভোটাররা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়- নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিলো ২০১০ সালে। যেখানে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কিমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুন নবী সাজা। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৬৩৯ জন।

অপরদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১২ সালে। যেখানে ৭১সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক আ শ ম আল কাফী তুহিন। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৮৫২ জন।

নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- মোঃ নুরুন নবী সাজা ও শেখ মোঃ মিজানুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী- শাহ্ আজিজুর রহমান চৌধুরী হিরু, মোঃ আব্দুল মতিন তালুকদার এবং মোঃ দিদারুল হক রতন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী-আগফা উদ দৌলা সবুজ, মোঃ মতিউর রহমান (বুলু), মোঃ মহসিন আলী, এস,এম শহীদুল ইসলাম (সাথী) এবং মোঃ শাহীদুজ্জামান (সাইদ)।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল হক বেলাল।

অপরদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ও মো. সারওয়ার কামাল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ আব্দুস সালাম পিন্টু, মোঃ নাদিম কুদ্দুস, সরদার সাইফুল ইসলাম সাজু এবং শ.ম.আ. আল কাফী তুহিন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ খালেদ হাসান (লিপ্ত), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল হক রানা এবং মোঃ ওবাইদুর রহমান।

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, সহকারি নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. মিনহাজুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন।

পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ নুরুন নবী সাজা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- ‘দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে কাউন্সিল খুবই দরকার। এতোদিন দলে যে দূর্বলতা ছিলো তা কাটিয়ে উঠবে। সেইসাথে এ কমিটির মাধ্যমে দল আগামীতে মজুত হবে এবং গতিশীল বাড়বে।’

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশাবাদী নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

নির্বাচনের দায়িত্বরতা জানান- সকাল ১০ টায় নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌর বিএনপি এবং সকাল ৯টায় নওগাঁ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হওয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। যেখানে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট
দেশের বাজারে ফের কমলো সোনার দাম
চুয়াডাঙ্গায় গুণগতমানসম্পন্ন বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও ব্যবহারবিষয়ক দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি-লুটপাট, গ্রেফতার ৪
সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট, জেমসসহ গাইবেন আরও পাঁচ ব্যান্ড
বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এমন সংবাদ দিয়ে ছেলেকে অপহরণ
রামপুরায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, বাসে আগুন
একযোগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫৩ জন কর্মকর্তাকে রদবদল
‘টাকা-পয়সা-গয়না কেড়ে নেওয়াতে দুঃখ পাইনি, কিন্তু ধর্ষণের মিথ্যা খবর প্রচারে আমি ভেঙে পড়েছি’
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, নেতৃত্বে যারা
নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার: হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭৪৩ জন
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ, সরকারের ব্যয় ৫২৫ কোটি টাকা
চা দোকানির ছেলে হলেন বিচারক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝরে গেল চালকের প্রাণ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ২৭১ পদে বিশাল নিয়োগ
বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা