ইউক্রেন সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো
ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। ইউক্রেনে রুশ হামলার জবাবে করণীয় ঠিক করতে ব্রাসেলসে ৩০ সদস্যভুক্ত দেশের জোট ন্যাটোর জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সম্মেলনের জোটের নেতারা ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়েও একমত হন। খবর দ্যা গার্ডিয়ান।
ন্যাটো সম্মেলনের আগে ঘোষণা করা হয়, নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। ওই সম্মেলনে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের শক্তির একাংশ প্রয়োজন তার দেশের। রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে তিনি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানান। ওই সম্মেলনের আগে রুশ হামলার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে তিনি বিশ্বের সব জায়গা রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই ন্যাটোর সহায়তা চেয়ে আসছেন জেলেনস্কি। তিনি নো–ফ্লাই জোন কার্যকরেরও দাবি জানিয়ে আসছেন। জবাবে এর মধ্যেই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে। গতকাল সম্মেলনেও একই দাবি করেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য ন্যাটো হতে পারেএমন হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পাল্টা জবাবে, ইউরোপের ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় বহরে ৪০ হাজার সেনাসদস্য পাঠানো হবে। এ ছাড়া বিমান ও নৌশক্তি জোরদার করা হবে। সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া জোরদার করা হবে। এ ছাড়া রাসায়নিক, জৈব, তেজস্ক্রিয় ও পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে নিজেদের প্রস্তুতি বাড়াবে ন্যাটো।
পাশাপাশি স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও হাঙ্গরিতে চারটি নতুন বাহিনী গঠনের বিষয়ে ন্যাটো নেতারা একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আমরা যে একজোট হয়ে ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করব, নতুন বাহিনী গঠন তার একটি শক্তিশালী সংকেত।'
এদিকে ন্যাটোর প্রধান হিসেবে জেনস স্টলটেনবার্গের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। গতকাল এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্টলটেনবার্গ নিজেই। ২০১৪ সালে অক্টোবর থেকে ন্যাটোপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
কেএফ/