শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

গণহত্যা ‍দিবসে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণহত্যা দিবস-এর ৫১ বছর পূর্তির এ সময়েও বিশ্বের কোনো কোনো অংশে এখনো গণহত্যা, নিপীড়নসহ নানা মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। আমি বিশ্বাস করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণপূর্বক সকল প্রকার বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও ঔপনিবেশিক মনোভাব পরিহার করলে আমরা সহজেই একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালয় থেকে পাঠানো এক বাণীতে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি ’৭১-এর ২৫ মার্চের কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথে বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। ’

৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানের পর ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধু মাত্র বাংলাদেশ।’

তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং সর্বপরি সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে।

বৈঠকের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সকল প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

২৫ মার্চ ছিল অসহযোগ আন্দোলনের ২৪তম দিন। সেদিন সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’- যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এ বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের মিয়াওয়ালী কারাগারে বন্দি করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘The Sunday Times’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘GENOCIDE’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তব চিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনস্থাপন ও উন্নয়ন করেন, এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তর করেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগষ্ট আরেক কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদত বরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে। বিএনপি ২৫শে মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশিলব, মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে এবং তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে।

এসএম/এমএমএ/

 

--

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তারুণ্য উৎসব-২০২৫' আয়োজিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এনডিসি শীষ হায়দার চৌধুরী। অন্যান্য অতিথিরা হলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন, পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এম. এ. এন শাহীন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং তারুণ্যে উৎসবের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের  উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর 'জুলাই বিপ্লব ও তথ্য প্রযুক্তি' বিষয়ক ডকুমেন্টারি এবং 'জুলাই বিপ্লবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়' দুইটি পৃথক ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। তারুণ্য উৎসবে অনলাইন ভিত্তিক কুইজ এবং একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। 

বিশেষ অতিথি শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, 'তারুণ্য উৎসবের মাধ্যমে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে আমরা একটি মেসেজ দেওয়া চেষ্টা করছি এদেশের তরুণরাই সবকিছুর চালিকা শক্তি। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে এটা প্রমাণিত। তারুণ্য উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার কারণ হলো জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্থান ছিল কুমিল্লা। এছাড়া এই এলাকা একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এডুকেশন হাব। এই অঞ্চলে একসঙ্গে অনেক ভালো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরবর্তী ইনোভেশন হাবটি আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করবো।'

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলী বলেন, 'আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তাদের অনুষ্ঠানের ভেন্যু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার জন্য এবং আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে। তরুণদের এগিয়ে যাএয়ার পথ এখন সেটা তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ।  তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে  তরুনদের উদ্ভাবন ও উদ্দোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আজকের আইসিটি মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ এখন এসব বিষয়ে তরুণদের টার্গেট হওয়া উচিত। যদি মন্ত্রণালয় থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কিছু প্রজেক্ট হাতে নেয় সেখানেও আমরা সহযোগিতা করবো।'

তিনিও আরো, 'বলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়কে সচিব ঘোষণা দিয়েছেন এখানে একটি আইসিটি হাব হবে এতে আমি আমি খুব খুশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খুশি। তরুণদের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এই হাবটিকে আমরা দেশের প্রথম এআই হাব বানানোর জন্য চেষ্টা করবো। কারন, এই সেক্টরে দেশ ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।'

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'আমাদের পুরো কার্যক্রমকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ভাষার মাসে আমাদের যে এই সুন্দর আয়োজন আমি শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি, বিশেষ করে চব্বিশে জুলাই বিপ্লবে যে আত্মত্যাগ ছিলো তাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করি। গভীরভাবে স্মরণ করছি আমাদের ছাত্র শহিদ আবদুল কাইয়ুমকে যিনি চব্বিশের আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন।' 

তিনি আরও বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি আরও বলে দিতে চাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে গ্লোবাল প্রডাক্ট হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে হবে।'

Header Ad
Header Ad

নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ

সালাহউদ্দিন আম্মার এবং মেহেদী সজীব। ছবি: সংগৃহীত

নবগঠিত ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই সমন্বয়ক। ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আধিপত্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।

পদত্যাগকারী দুই নেতা হলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব ও যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তারা উভয়েই রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।

গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসান-এর নাম ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মেহেদী সজীবকে, আর ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হন সালাহউদ্দিন আম্মার। কিন্তু কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা দুজনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ফেসবুকে মেহেদী সজীব লিখেছেন- ‘নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে রাজি না।’

তিনি আরও লেখেন- ‘আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছে, যা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে ঢাবিকেন্দ্রিক মনোভাব যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যেতে রাজি নই।’

সালাহউদ্দিন আম্মারের বক্তব্য- ‘এই সংগঠন সর্বজনীন হতে পারত, কিন্তু বর্তমান অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। আমাদের আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তাদের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন- ‘রাবি শিক্ষার্থীরা চাইছে না ঢাবিকেন্দ্রিক আধিপত্য বজায় থাকুক। তাই আমরাও থাকতে চাই না।’

এই পদত্যাগের ঘটনায় সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে। সংগঠনটি কতটা সর্বজনীন হতে পারবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

Header Ad
Header Ad

রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট

ছবি: সংগৃহীত

একযুগ পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নওগাঁয় সদর উপজেলা ও পৌরসভার কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই যেখানে ভোটাররা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের প্রত্যক্ষ ভোট প্রদান করবেন। দীর্ঘদিন পর কাউন্সিল হওয়ায় প্রার্থী ও সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা নিজেদের জানান দিতে গত কয়েকদিন থেকে শহর ও গ্রামে মাইকের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। তবে কার গলায় উঠবে বিজয়ের মালা তা ঠিক করবেন ভোটাররা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়- নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিলো ২০১০ সালে। যেখানে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কিমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুন নবী সাজা। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৬৩৯ জন।

অপরদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১২ সালে। যেখানে ৭১সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক আ শ ম আল কাফী তুহিন। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৮৫২ জন।

নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- মোঃ নুরুন নবী সাজা ও শেখ মোঃ মিজানুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী- শাহ্ আজিজুর রহমান চৌধুরী হিরু, মোঃ আব্দুল মতিন তালুকদার এবং মোঃ দিদারুল হক রতন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী-আগফা উদ দৌলা সবুজ, মোঃ মতিউর রহমান (বুলু), মোঃ মহসিন আলী, এস,এম শহীদুল ইসলাম (সাথী) এবং মোঃ শাহীদুজ্জামান (সাইদ)।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল হক বেলাল।

অপরদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ও মো. সারওয়ার কামাল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ আব্দুস সালাম পিন্টু, মোঃ নাদিম কুদ্দুস, সরদার সাইফুল ইসলাম সাজু এবং শ.ম.আ. আল কাফী তুহিন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ খালেদ হাসান (লিপ্ত), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল হক রানা এবং মোঃ ওবাইদুর রহমান।

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, সহকারি নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. মিনহাজুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন।

পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ নুরুন নবী সাজা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- ‘দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে কাউন্সিল খুবই দরকার। এতোদিন দলে যে দূর্বলতা ছিলো তা কাটিয়ে উঠবে। সেইসাথে এ কমিটির মাধ্যমে দল আগামীতে মজুত হবে এবং গতিশীল বাড়বে।’

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশাবাদী নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

নির্বাচনের দায়িত্বরতা জানান- সকাল ১০ টায় নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌর বিএনপি এবং সকাল ৯টায় নওগাঁ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হওয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। যেখানে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট
দেশের বাজারে ফের কমলো সোনার দাম
চুয়াডাঙ্গায় গুণগতমানসম্পন্ন বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও ব্যবহারবিষয়ক দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি-লুটপাট, গ্রেফতার ৪
সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট, জেমসসহ গাইবেন আরও পাঁচ ব্যান্ড
বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এমন সংবাদ দিয়ে ছেলেকে অপহরণ
রামপুরায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, বাসে আগুন
একযোগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫৩ জন কর্মকর্তাকে রদবদল
‘টাকা-পয়সা-গয়না কেড়ে নেওয়াতে দুঃখ পাইনি, কিন্তু ধর্ষণের মিথ্যা খবর প্রচারে আমি ভেঙে পড়েছি’
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, নেতৃত্বে যারা
নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার: হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭৪৩ জন
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ, সরকারের ব্যয় ৫২৫ কোটি টাকা
চা দোকানির ছেলে হলেন বিচারক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝরে গেল চালকের প্রাণ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ২৭১ পদে বিশাল নিয়োগ
বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা