অর্থপাচার: ফালুকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ
বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক এই সংসদ সদস্যর বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় এই নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এই নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ফালুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে আদালত। এসময় ফালু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ তাকে খুঁজে না পাওয়ায় আজ পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলার অপর দুই আসামি আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান জামিনে আছেন।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে ফালুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
এতে বলা হয়, মোসাদ্দেক আলী ফালু, একরামুজ্জামান ও আনোয়ারুজ্জামান ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, থ্রি-স্টার লিমিটেড, ডেভেলপমেন্ট ইউএই নামে অফশোর কোম্পানি খোলেন। এরপর তারা বাংলাদেশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন। দুবাইয়ে ওই অর্থ উপার্জনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি।
২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালু ও অন্য তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুবাইয়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুবাইয়ে পাচার করা ওই অর্থ উপার্জনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ওই অর্থ কীভাবে উপার্জন করা হয়েছে তার কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনও জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতি নেননি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে অফসোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এমএ/এমএমএ/