৯ দিন পর সচল ই-পাসপোর্টের সার্ভার
অবশেষে অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদন নিয়ে ভোগান্তি থেকে মুক্ত হলেন গ্রাহকরা। কয়েকদিন ধরে অনেকেই ছবি তুলতে এসে ফিরে গিয়েছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল সিস্টেম আপগ্রেডেশন জটিলতায় অনলাইনে বন্ধ রয়েছে ই-পাসপোর্টের আবেদন।
নয় দিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে ই-পাসপোর্টের সার্ভার।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, সাত দিন ধরে সার্ভার বন্ধ ছিল এবং দুই দিন সার্ভার কোনো আবেদন গ্রহণ করছিল না। বুধবার সকাল থেকেই অনলাইনে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইট আবেদন গ্রহণ করছে। একইভাবে বায়োমেট্রিকসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া চলমান।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (বিভাগীয়) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকাপ্রকাশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় সব সমস্যার সমাধান হয়েছে আপাতত কোনো জটিলতা নেই। তবে, কম্পিউটারের ডিভাইসে যদি সমস্যা হয় সেটা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অথবা যারা কম্পিউটার নিয়ে কাজ করেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
এর আগে ‘সিস্টেম আপগ্রেডেশন’র কারণে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এরপর ১৭, ১৮ ও ১৯ মার্চ সরকারি ছুটিতে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। তবে আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ না হওয়ায় ২০, ২১, ২২ ও ২৩ মার্চ সকাল পর্যন্ত সার্ভার ডাউন ছিল। এ সময় নতুন করে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারছিলেন না নাগরিকরা।
অধিদপ্তর জানায়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অধীনস্থ ডিজাস্টার রিকভারি সাইটে (ডিআরএস) ওএটি এবং ফেইল ওভার টেস্ট সম্পাদনের কারণেই মূলত আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। সার্ভার ডাউন থাকা অবস্থায় যেসব আবেদনকারীর অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ ছিল তারা সার্ভার চালুর পর যেকোনো দিন অধিদপ্তরে গেলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী বলেছেন, কয়েক দিন আগে ই-পাসপোর্টের সিস্টেম আপগ্রেডেশনের কাজ করা হয়। সে সময় কিছু ডাটা মিসম্যাচ হওয়ার কারণে একটু জটিলতা তৈরি হয়।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব বলেন, ওয়েবসাইট জটিলতার সময় জরুরি কারো প্রয়োজন হলে আমরা অফলাইনে আবেদন করে দিয়েছি। তবে আজ থেকে কোনো সমস্যা নেই।
কেএম/এসএন