প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান: পররাষ্ট্রসচিব
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন করাই এ সমস্যার টেকসই সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত খরচ বহন করতে পারে না। সুতরাং রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে তাদের মূলে প্রত্যাবাসন করতে হবে।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ওআইসির ৪৮তম অধিবেশনে বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্রসচিব এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়টি উঠে আসে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক শুনানির হালনাগাদ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অবদানের বর্তমান অবস্থা এবং মামলাটি পরিচালনা করতে তহবিলের প্রয়োজনীয়তার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করে গাম্বিয়া।
পররাষ্ট্রসচিব মোমেন তার বিবৃতিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা, বিশেষ করে হাজার হাজার কিশোর ও যুবা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো শঙ্কিত হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় এড়াতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। গাম্বিয়া ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে এবং আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে সদয় সমর্থনের জন্য তিনি রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে গতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রসচিব মামলার আইনি খরচ মেটাতে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে দৃঢ় সংহতির আহ্বান জানান। তুরস্ক তহবিলে দুই লাখ মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা বছরের পর বছর ধরে এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আতিথেয়তা এবং এমনকি তাদের কোভিড ভ্যাকসিন কর্মসূচির মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
সৌদি আরব ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৪৮তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব।
২২-২৩ মার্চ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের সর্বাধিক নির্যাতিত মুসলিম সংখ্যালঘুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম সিএফএমের সিদ্ধান্ত অনুসারে ১০ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
আরইউ/এসএন