শাহবাগে ১১ দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষক সমিতির দিনরাত আন্দোলন
রাজধানীর শাহবাগে ১১ দফা দাবি নিয়ে দিনরাত আন্দোলন করছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শনিবার থেকে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) পর্যন্ত টানা তিনদিন ধরে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন।
শিক্ষকদের মূল দাবি, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি করা। এ ছাড়া তারা আরও দশটি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্দোলনরত শিক্ষক আরিফুল রহমান অপু বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের এ দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততদিন আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ইসরাত জাহান নামের এক শিক্ষিকা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছে এবং দাবি আদায় না হলে এই আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনরত শিক্ষক চাপা খন্দকার বলেন, দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাব না।
নাজমুল হুদা নাদিম বলেন, মন্ত্রণালয়কে আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহবান করছি।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিসমূহ হলো-
১) প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমম্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়সমূহের একসঙ্গে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করা।
২। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ হতে বেতন ভাতা প্রদান।
৩। সকল বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র/ছাত্রীদের শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান।
৪ সকল বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ নিশ্চিত করা।
৫ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র/ছাত্রীদের উপযোগী স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা।
৬। সকল বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ শতভাগ নিশ্চিত করণ।
৭। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহ নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করণ।
৮। শিক্ষক/কর্মচারীদের মান উন্নয়নমূলক ট্রেনিংসহ সংশ্লিষ্ট সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করণ।
৯। শতভাগ বিদ্যালয় আধুনিক মানসম্পন্ন। প্রতিবন্ধী বান্ধব এলন নির্মাণ নিশ্চিত করণ ।
১০। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহে আধুনিক থেরাপি সরঞ্জাম সরবরাহসহ থেরাপি সেন্তার চালু করণ।
১১ ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন শেষে যাগ্যোতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানসহ আত্মনির্ভরশীল জীবনযাপনের নিশ্চয়তা করা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, আমরা তিন দিন ধরে আমাদের দাবি আদায়ের লড়াই করে যাচ্ছি। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেলেও আন্দোলন চালিয়ে যাব। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকে আন্দোলন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু কেউ এখনও আন্দোলনের মাঠ ছাড়ে নাই।
আন্দোলন চলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানান আন্দোলনরত এই শিক্ষক।
কেএম/টিটি