স্বাধীনতা পুরস্কার কেলেঙ্কারি
কৈফিয়ত চেয়ে বাণিজ্য সচিবকে চিঠি
স্বাধীনতা পুরস্কার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সাহিত্যে পুরস্কার পাওয়া কথিত সাহিত্যিক আমির হামজার (পরবর্তিতে সমালোচনার মুখে সেই পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়) বিষয়ে তিনি কেন তথ্য গোপন করেছেন। দ্রুততম সময়ে মধ্যে এই চিঠির জবাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা পুরস্কার কেলেঙ্কারি ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কেন পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির তথ্য গোপন করা হয়েছিল-এসব বিষয়ে তদন্তের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গত শুক্রবার (১৮মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২০ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া (পরে বাতিলকৃত) আমির হামজার নাম সুপারিশকারি বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিঠিতে সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে আমির হামজার নাম কে প্রস্তাব করেছে? প্রস্তাব আসার পর তার সম্পর্কে তথ্য যাচাইবাছাই করা হয়েছিল কি-না? যদি না করা হয় তাহলে কেন করা হল না? তথ্য কেন গোপন করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ সরকার ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে। মন্ত্রিপরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওইদিন এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।
তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়। যেখানে এবছর সাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয় মো. আমির হামজাকে।
তার নাম প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ১৫ মার্চ দুপুরেই ঢাকাপ্রকাশ ‘সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া আমি হামজা কে?’ এই শিরোনামে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এর একদিন পর ১৭ মার্চ ঢাকাপ্রকাশ আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল ‘মন্ত্রী বললেন তদন্ত হচ্ছে : বাতিল হচ্ছে আমির হামজার পুরস্কার!’ ১৮ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় আমির হামজার পুরস্কার বাতিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
এরপর ১৮ মার্চ রাতেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ঢাকাপ্রকাশক কে জানান, তথ্যগোপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা, কি উদ্দেশ্যে তথ্য গোপন করেছে সেটি তদন্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনএইচবি/