গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি শুরু
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের গণশুনানি শুরু হয়েছে। এ প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনার মধ্যেই আজ সোমবার (২১ মার্চ) এই গণশুনানি শুরু হলো।
রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে শুনানি গ্রহণে উপস্থিত আছেন সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক ও মো. কামরুজ্জামান।
সোমবার সকালে পেট্রোবাংলা প্রস্তাবিত পাইকারি দরের ওপর গণশুনানি হচ্ছে। বিকালের অধিবেশনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ট্রান্সমিশন চার্জের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করা হবে।
বিইআরসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণ করে আসছে জানিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, কমিশন হচ্ছে আধাবিচারিক ব্যবস্থা, এখানে যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়।
অডিট রিপোর্টে সবার মার্জিন দেখা গেছে, তাহলে কেন দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা পেট্রোবাংলা দেবে। এ কথা জানিয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, জিডিএফ জনগণের পয়সা দ্বারা গঠিত, এখান থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে সরকার। সে বিষয়ে পেট্রোবাংলার সঠিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন। জিডিএফ'এ চার্জ ধরা হয় ৮৩ পয়সা, কিন্তু পাচ্ছে ৪১ পয়সা, ৪১ পয়সা অনুদান হিসেবে পাচ্ছে পেট্রোবাংলা।
সিস্টেম লস সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি। পৃথিবীর কোথাও ২ শতাংশের বেশি নেই এমনটা জানিয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, সিস্টেম লস গ্রহণযোগ্য মাত্রায় হওয়া উচিত। এবার মূল্যহার সুবিবেচনা, সুনির্দিষ্ট ভারসম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বাস্তবতার নিরিখে হবে ঘোষণা, কোনো অমানবিক সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে না।
আরইউ/টিটি