জাতীয় ঈদগাহে সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজা অনুষ্ঠিত
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব আবু সালেহ মো. সলিমুল্লাহ।
জানাজার নামাজের জন্য প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সুপ্রীম কোর্ট-হাইকোর্টে কর্মরত বিচারক, আইনজীবীরা অংশ নেন।
জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও আইনজীবী সংগঠনগুলোর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, সাবেক বিচারক বৃন্দ, আপিল বিভাগের বিচারকরা, অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে সাহাবুদ্দীন আহমদের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতির পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সহকারি সামরিক সচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রাজু আহমেদ।
সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়ে ছিল ৯২ বছর।
শনিবার (১৯ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে কেন্দুয়ায় সাহাবুদ্দীনের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। পরে তার মরদেহ কেন্দুয়া থেকে গাড়িতে করে সড়কপথে নেওয়া হয় জন্মস্থান পেমই গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বিকাল ৫টার দিকে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী সাহাবুদ্দীন পরে ১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ফিরে ছিলেন।
২০০১ সালে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন-যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
এমএইচ/এসএ/