শবে বরাত থেকে শবে কদর পর্যন্ত ডিএসসিসির ৩০ ওয়ার্ডে খাদ্য সমাগ্রী দেওয়া হবে
বরাবরের মতো আবারও দু:সময়ে মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব দুখি মানুষের পাশে থাকবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডিএসসিসি’র ৩০টি ওয়ার্ডে ৬ হাজার দুস্থ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে বলেও জানান সাবেক এই মেয়র।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) পুরান ঢাকার সুরিটোলা সরকারী মডেল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ’ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন সাঈদ খোকন।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমি আমাদের যে সব স্বচ্ছল ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তাদেরকে আহ্বান জানাবো আপনারা সবাই সামর্থ অনুযায়ী অসহায়, দরিদ্র ও দুখি মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাহলে দুস্থ্য অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। শবে বরাত থেকে শুরু করে শবে কদর পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সময়ে ৬ হাজার দুস্থ্য মানুষকে ৩০ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। এজন্য শহরের ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মিনিকেট চাল ১০ কেজি, পোলাও চাল ২ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২ কেজি, আলু ৫ কেজি, ঘি ১০০ গ্রাম, সেমাই ১ প্যাকেট, ছোলা বুট ১ কেজি, খেজুর ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, লবন ১ কেজি, লাক্স সাবান ১টি, দুধ ২০০ গ্রাম, মসুরের ডাল ১ কেজি, মুড়ি ১ কেজি, ডাবলি ১ কেজি, মটরের ডাল ১ কেজি, বেসন ১ কেজি, ১টি ব্যাগ সহ প্রতি প্যাকেটে ৩০ কেজি ওজন।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববাজারে দ্রব্যমূলে প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক সফল মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গত দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর কারণে খাদ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এর ঢেউ আমাদের দেশেও কম বেশি লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে কাজ করছেন।
সাঈদ খোকন বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন পণ্য থেকে ভ্যাট ট্যাক্স মওকুফ করেছেন। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করা থেকে শুরু করে যা যা করা দরকার তা করছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এই দূরহ কাজটি আরও দূরহ হয়ে পড়ে। আমরা যদি এই কাজে সম্পৃক্ত না হই তাহলে সরকারের একার পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা যারা সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গ রয়েছি তারা সবাই যদি সরকারের এই মহোতি কাজে সামিল হয়ে গরীব দুখি মানুষের পাশে দাঁড়াই তাহলে দ্রব্যমূল্য অচিরেই মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।
সাঈদ খোকন জানান, তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে শবে বরাত থেকে শুরু করে শবে কদর পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সময়ে ৬ হাজার দুস্থ্য মানুষকে ৩০ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। এজন্য শহরের ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
সাঈদ খোকন আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে পুরানো ঢাকাসহ বিভিন্ন মানুষের সুখে দুখে আমি পাশে ছিলাম এবং আছি। আমাদের সংগঠন বিভিন্ন সেবা মূলক সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আমরা বিগত এক বছরে এই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছি। সঙ্গে ৫০০ রোগীর বিনামুল্যে চোখের ছানি অপারেশন করেছি। বিগত রমজানেও হাজার হাজার নিম্নদুস্থ্য পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওযামী লীগের সাবেক কার্যনিবাহী সদস্য ফজলুর রহমান সরদার, সুরিটোলা সরকারী মডেল বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজী মো. ফারুক, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সম্মন্বয়কারী হাজী মো. হাফিজ, আতিকুর রহমান স্বপন, মোহাম্মদ সাজেদ, মোহাম্মদ সাদেক মিঠু, মোখলেসুর রহমান রোমেল, হাজী বাবু ভুঁইয়া, মোঃ ফয়সাল শেখ, মো. সালাউদ্দিন তুহিন, মো. শাহাদাত হোসেন মিকো, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সাংগঠনিক সচিব মোহা. হাবিবুল ইসলাম সুমনসহ ওয়ার্ড সমন্বয়কারীরা।
এসএম/