সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
দেশের সকল সেনানিবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) আইএসপিআর জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে একযোগে ঢাকাসহ দেশের সকল সেনানিবাসে এ দিনটি উদযাপন করা হয়।
এ দিন সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী পুস্পস্তবক প্রদাণের সময় সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তঃবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পুস্পস্তবক অর্পনকালে আন্তঃবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে সড়কপথে ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়ায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সকল সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ সুসজ্জিত করা হয়। ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয়ভাবে সেনাকুঞ্জে এবং ঢাকাস্থ সকল ইউনিট, প্রতিষ্ঠান ও সদর দপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনীর উপর আলোচনা অনুষ্ঠান ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
সেনাকুঞ্জে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।
ঢাকা সেনানিবাসের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশন, ইউনিট ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনীর উপর আলোচনা অনুষ্ঠান ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। একই সাথে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিলড্রেন ক্লাবগুলোতে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর সকল ইউনিট, প্রতিষ্ঠান ও সদর দপ্তর সমূহের পাশাপাশি সেনাবাহিনী পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনীর উপর আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ দিনে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সেনানিবাসসমূহের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
কেএম/এএস