‘মৈত্রী দিবস উদযাপন ঢাকা-নয়াদিল্লির নিবিড় সম্পর্কের পরিচায়ক’
মৈত্রী দিবস উদযাপন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নিবিড় সম্পর্কের পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে বুধবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার বিজয়ী আটজন বাংলাদেশী প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিজয়ীদের হাতে সম্মানী ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রথিতযশা শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যে মৈত্রী দিবস উদ্যাপনকে দুই দেশের সম্পর্কে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি উৎসাহী তরুণ প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল চিন্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুরস্কার বিতরণ শেষে বিজয়ী প্রতিযোগীদের সঙ্গে ছবি তুলেন পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতীয় হাই কমিশনার।
উল্লেখ্য, ২৬-২৭ মার্চ ২০২১ তারিখ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দিন হিসেবে ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বিশ্বের ১৮টি দেশসহ বাংলাদেশ ও ভারতে যৌথভাবে মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইতোমধ্যে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৈত্রী দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উক্ত প্রতিযোগিতা বিভিন্ন স্তরে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়।
নকশার নান্দনিকতা, শিল্পমান, মৈত্রী দিবসের ধারণার সঙ্গে একাত্মতা, নিজেদের নকশা সম্পর্কে প্রতিযোগী শিল্পীদের ব্যাখ্যা বিবেচনায় নিরপেক্ষতা ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশিকার ভিত্তিতে, সর্বোপরি দুই দেশের স্ব-স্ব আর্থিক নিয়মাবলি অনুসরণ করে সর্বসম্মতিক্রমে যৌথ নির্বাচক কমিটির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য পৃথকভাবে ৮টি করে মোট ১৬টি আকর্ষণীয় সম্মানী পুরস্কার রয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় আটজন বাংলাদেশী প্রতিযোগী মোট নয়টি পুরস্কার এবং সাতজন ভারতীয় প্রতিযোগী সাতটি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
ভারতের নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শীঘ্রই ভারতীয় প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
আরইউ/এমএমএ/