‘নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করলে চলবে না’
র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করলে হবে না। এ সম্পর্ক অনেক গভীর। দুদেশের সক্ষমতা রয়েছে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকালে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন এবং সিএফআইএসএস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক’ নিয়ে বিষয়ে এক গোল টেবিল আলোচনায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের কাউন্সিলর শন ম্যাকিনটস এ কথা বলেন।
র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শন ম্যাকিনটস বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ হচ্ছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকারের বিষয়ে পরিষ্কার মার্কিন বার্তা দেওয়া এবং দায়বদ্ধতা উৎসাহিত করার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে জানিয়ে শন ম্যাকিনটস বলেন, আমরা মনে করি না যে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কের সংজ্ঞা নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশকে ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে’ আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের কাউন্সিলর বলেন, অনেক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে আমি কারণ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
শন ম্যাকিনটস বলেন, আমি যেটি বলতে চাই, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সমমনা অংশীদারদের সামনে প্রদর্শনের সুযোগ আছে বাংলাদেশের। সামনে দ্বিতীয় ‘গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন’ হবে। তখন দেখা যাবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করার বড় সুযোগ আছে।
ঢাকা ট্রিবিউনের এডিটর ইন চিফ জাফর সোবহান এবং সিএফআইএসএস-এর চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মাদ নুরুল আবসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যেরমধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মোবিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাব আনাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাইলাফুর রহমান প্রমুখ।
আরইউ/এমএমএ/