মৎস্য রপ্তানির পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী গুণগতমানের মৎস্য রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার (১৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্স আয়োজিত সি ফুড এক্সপো নর্থ আমেরিকা (এসইএনএ) এর অন্যতম ইভেন্ট ‘রিভাইটালাইজিং ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ শীর্ষক উপস্থাপনা ও আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মৎস্যমন্ত্রী এসব কথা জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্সের সভাপতি জর্জ চেম্বারলিন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক প্রমুখ ।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশে মৎস্যসম্পদের অধিক উৎপাদন ও গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য সরকারের উদ্যোগে অবকাঠামো উন্নয়ন, রোগমুক্ত পোনা সরবরাহ, আন্তর্জাতিক মানের মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন ও পরিচালনা, প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন নামে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাগদা চিংড়ির গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য রোগমুক্ত চিংড়ি পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, বিজ্ঞানসম্মত উত্তম মৎস্যচাষ পদ্ধতি অনুসরণ ও আইনের কঠোর প্রয়োগসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘চিংড়ি চাষ ও প্রক্রিয়াকরণে 'ফিশ এন্ড ফিশারি প্রোডাক্টস অফিসিয়াল কন্ট্রোল প্রটোকল' ও 'অ্যাকুয়াকালচার মেডিসিনাল প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা' প্রণয়ন ও অনুসরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া চিংড়ি চাষিদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং চিংড়ি চাষে গুচ্ছ চাষ পদ্ধতির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে’।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির উচ্চমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে চিংড়ির থার্ড পার্টি সার্টিফিকেশন প্রবর্তনের জন্য গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সহযোগিতা কামনা করেন রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী 'রিভাইটালাইজেশন অব ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প কমিউনিটি' নামক একটি ওয়েব পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এনএইচবি/এমএমএ/